পুলিশি এনকাউন্টারে খতম পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে ফেরার দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলম। শনিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকায় ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে কি বাহিনীর মনোবল ধরে রাখতে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বাইরে বেরিয়ে অবশেষে নিজের দক্ষতা প্রমাণে বাধ্য হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, এদিনের এনকাউন্টারে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, সাজ্জাকের মতো বেপরোয়া দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এনকাউন্টারই দাওয়াই, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পর এই তত্ত্ব কি মেনে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও?
রাজ্যে দুষ্কৃতীদের এনকাউন্টার নিয়ে সাম্প্রতিককালে কম বিতর্ক হয়নি। আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ খুলে সঞ্জয় রায়ের মতো অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন মমতা মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, এনকাউন্টার কোনও সমাধান নয়। আমাদের বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে হবে। দরকারে আইন সংশোধন করতে হবে। ওপরে ভগবান আর নীচে ন্যায়ালয়। বিচারব্যবস্থার কাছেই গিয়ে বলতে হবে অপরাধীকে কঠোর শাস্তি দেও।
২০০১৭ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন যোগী আদিত্যনাথের সরকার ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক এনকাউন্টারে দুষ্কৃতীদের খতম করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ২০১৭ থেকে ১০ হাজারের বেশি এনকাউন্টার করেছে তারা। তাতে ৬৩টি দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে দেশ জোড়া বিতর্ক কম হয়নি। উত্তর প্রদেশে এনকাউন্টারের নামে বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছে তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এবার পশ্চিমবঙ্গেও দুষ্কৃতীকে সবক শেখাতে যোগী আদিত্যনাথের পথেই হাঁটতে হল মমতাকে।