বুধবার রাতে সাইক্লোনের আমফানের জেরে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছিল মহানগরী সমেত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় পুরোটা। শনিবার রাত অবধি বহু জায়গায় আলো ফেরেনি। পরিস্থিতি সরজমিনে তদারকি করতে সিইএসসি হেডকোয়ার্টারে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আর্জি জানান তিনি। অন্যদিকে শনিবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ৮৫ শতাংশ বাড়িতে ফিরে এসেছে আলো।
বিদ্যুত না থাকায় বেহালা থেকে যাদবপুর, বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করছেন মানুষ। অনেক জায়গায় হচ্ছে পথ অবরোধ। আলো না থাকায় পানীয় জলও পাচ্ছেন না মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সবাইকে একটু ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন। কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বলেন যে তিন-চার রাত ঘুমায়নি, আলো নেই বলে আমার মাথাটা কেটে নিয়ে যান!
সিইএসসি-কে বাম আমলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে দিদি জানান যে এখন কোনও বিকল্প নেই হাতে। আপাতত ওদের দিয়েই কাজ করিয়ে নিতে হবে। তিনি যে একাধিকবার সিইএসসি-র কর্ণধারের সঙ্গে কথা বলেছেন, সেটাও জানান তিনি। লকডাউনের ফলে অফিসে পুরো শক্তি নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। ইদ বলেও অনেকে ছুটিতে। সেই কারণে লোকবলের অভাবেও সিইএসসি ভুগছে বলে জানান তিনি।
সিইএসসি হেডকোয়ার্টাসে গিয়ে মমতা বলেন যে স্থানীয়দেরও কাজে লাগিয়ে নিন যেটা নন-টেকনিক্যাল ওয়ার্ক সেটার জন্য। দরকার হলে একটু ওভারটাইম করেও বিদ্যুত সংযোগ করে দিন বলে অনুরোধ করেন তিনি।
টুইটারে সিইএসসি জানিয়েছে যে তাদের ৩৩ লক্ষ গ্রাহকদের মধ্যে এখন ৮৫ শতাংশের বাড়িতে আলো এসেছে।
বাকিদের বাড়িতে দ্রুত আলো ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে সংস্থা জানিয়েছে। বহু জায়গায় ইলেকট্রিকের পোল ঝড়ের কারণে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। সেখানে আপাতত অস্থায়ী ভাবে লাইন সারিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে পোল বসাবে সংস্থা।