কৃষকের অধিকার রক্ষার দাবিতে লড়াই জারি থাকবে। সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা তুলে ধরে ফের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত সিঙ্গুর আন্দোলনের দশম বর্ষপূর্তিতে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো এবার জাতীয় ক্ষেত্রে কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে চাইলেন। এবং এই দুর্দশার জন্য কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। সোমবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘দশ বছর আগে এই দিনেই রাজ্য বিধানসভায় সিঙ্গুল ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্য়ান্ড ডেভেলপমেন্ট বিল পাশ হয়। বহু লড়াই ও বিতর্কের পর ওই বিল পাশ হয়েছিল। আমরা কৃষকদের অধিকার রক্ষার জন্য যৌথভাবে লড়াই করব। তাদের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনব।’ টুইট করে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্য জাতীয় ক্ষেত্রে কৃষকদের নানা দুর্ভোগ হচ্ছে, এটা আমাকে যন্ত্রণা দেয়। আসুন, আমাদের সমাজের মেরুদণ্ডকে সুরক্ষিত করার স্বার্থে আমাদের যৌথভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তাদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ টুইটে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত গত সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করেন। কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে জাতীয় স্তরে মিছিল করার ব্যাপারে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মূলত হিন্দি বলয়ে কৃষকদের পাশে থাকে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের অন্য়তম মুখ হয়ে উঠতে পারেন মমতা। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত সিঙ্গুর সরণী ধরেই একদিন ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেসময় গোটা দেশের নজর কেড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর ২০১১ সালের ১৪ই জুন বিধানসভায় সিঙ্গুরের জমি সুরক্ষার বিল বা The Singur Land Rehabilitation and development bill পাশ হয়েছিল। এবার জাতীয় ক্ষেত্রেও সেই তৃণমূল নেত্রীর প্রাসঙ্গিকতা ক্রমশ বাড়ছে। দিল্লির রাজপথে বিগত দিনে যখন পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের কৃষকরা একজোট হয়েছিলেন তখনও তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারও সিঙ্গুরের জমি বিল পাশ হওয়ার দশম বর্ষপূর্তিতে সেই কৃষকদের পাশে থাকা. জাতীয়স্তরে কৃৃষক ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যা বিজেপির মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ হতে পারে।