২০১৭ সালে লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল তৈরির আইন বানিয়েছিল দ্বিতীয় তৃণমূল সরকার। তারপর থেকে বন্ধ ছাত্র সংসদের নির্বাচন। এবার সেই আইনেরই বদল চাইছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলগত ভাবে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে অংশ নিক প্রতিটি রাজনৈতিক এবার তেমনটাই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০১৭ সালে তৈরি আইনে সংশোধনী আনা হবে। বিধানসভার বাদল অধিবেশনে দ্বিতীয়ার্ধেই এই বিল আনা হতে পারে।
ব্রাত্য বলেন,'লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে প্রতীকহীন নির্বাচনের জন্য ২০১৭ সালে একটি আইন রাজ্য বিধানসভায় পাশ করানো হয়। সেই আইনের সংশোধনী চান মুখ্যমন্ত্রী এবং আমাদের দল। আমার চাই সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশ নিক। দলগত ভাবে লড়ুক।'
সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা ছাত্র নেতাদের উদ্দেশে বলেন,'আপনারা যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনটা করতে পারেন, তাহলে আমি জেলায় জেলায় নির্দেশ দিয়ে দেব।' তার পর ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়।
এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন,'আমরা বিলটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিধানসভায় আনব। আমরা চাই পুজোর পর দফায় দফায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে।' এ নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বসবেন বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন শিক্ষমন্ত্রী।
২০১৭ সালে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শেষবার ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়। তার পর থেকে বন্ধ রয়েছে নির্বাচন। ছাত্র সংগঠনগুলিও দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়ে আসছে। গত বছর বিশিষ্টজনদের সামনে ছাত্র সংসদের ভোটাভুটি করে মেডিকেল কলেজের পডুয়ারা। এবার ছাত্র ভোট করার পক্ষে খোদ মুখ্যমন্ত্রীই।