অপরিকল্পিতভাবে প্রচুর জল ছেড়েছে ডিভিসি। এর জেরে বাংলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি। আর সেই অভিযোগ তুলে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কী লেখা আছে সেই চিঠিতে?
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছেন, ২০২১ সালের ৪ঠা অগস্ট ও ৫ অক্টোবর চিঠি লিখেছিলাম। অপ্রত্যাশিত, অপরিকল্পিতভাবে বিপুল জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে প্রায় ৫ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই বাঁধ ডিভিসির। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এর জেরে সাধারণ মানুষ মারাত্মক সমস্যার মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন। অতীতেও এই ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
মমতা লিখেছেন, ‘২০০৯ সালের পরে নিম্ন দামোদর ও সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১০০০ বর্গকিমি এলাকারও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। শস্যের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্পত্তির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সমস্যা মেটাতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছেন। ত্রাণ শিবির তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
‘পরিস্থিতি সম্পর্কে খতিয়ে দেখার জন্য আমি নিজেই বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়েছি। লাখ লাখ মানুষ সমস্যার মধ্য়ে পড়েছেন। সম্পত্তি ও পরিকাঠামোর ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেছেন, আমি এটা বলতে বাধ্য় হচ্ছি যে এটা ম্যান মেড বন্যা। যদি সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করা হত তবে এই ম্যান মেড পরিস্থিতি কমানো সম্ভব হত। জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক, গ্রামীণ রাস্তার ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। গত দুদিনে নিজে এলাকায় ঘুরে এই পরিস্থিতি দেখেছি।’
কার্যত এই বন্যা পরিস্থিতির যাবতীয় দায় ডিভিসির উপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এই জল ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করলে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হত না।’ ফের তিনি এই বন্যাকে ম্যান মেড বলে উল্লেখ করেছেন। '
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেই জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসিকে বার বারই আক্রমণ করেছেন মমতা। ফের তিনি এনিয়ে সরব হলেন। মমতা বলেন, যখন শুকিয়ে যায় বাঁকুড়া তখন জল চাইলে দেয় না। এখন ইচ্ছে করে ডুবিয়ে দিচ্ছে। এর জবাব দিতে হবে না?