বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে একাধিক বিধায়ককে ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই প্রশংসায় ভরালেন কয়েকজনকে। তবে এদিনের বৈঠকে ইটাহারের বিধায়ক মোসারফ হোসেনকে বিশেষ গুরুত্ব দেন মমতা। তিনি যে ভাবে সংগঠনের কাজ করছেন সেভাবে অন্যদেরও কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হল, দলীয় রণকৌশল নিয়ে তৃণমূলের বৈঠক বিধানসভায় হল কেন?
এদিন মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়েন, মদন মিত্র, উদয়ন গুহ ও বিধন উপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘টাকার বিনিময়ে দলে পদ পাওয়া যায়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন। পরদিনই যদিও ক্ষমা চান তিনি। মদনের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি তৃণমূল। এদিন মদনকে মমতা বলেন, ‘বারবার ক্ষমা চাইলে কি ক্ষমা করা যায়?’ এদিন উদয়ন গুহকেও তাঁর মন্তব্যের জন্য ভর্ৎসনা করেন মমতা। বলেন, তুমি মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাও। ওদিকে আসানসোলের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে মমতা বলেন, তোমার কাণ্ডকারখানায় তো কান পাতা যাচ্ছে না।
তবে উলটো পথে হেঁটে জেলমুক্তির পর প্রথমবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা। বলেন, বালুর বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে পারেনি। বালুর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত। ওকে ফাঁসানো হয়েছে।
তবে এদিনের বৈঠকে লাইমলাইটে ছিলেন ইটাহারের বিধায়ক মোসারফ হোসেন। মমতা বলেন, মোসারফ খুব ভালো কাজ করছে। ও যে ভাবে কাজ করছে সেভাবে অন্যরাও কাজ করুন। এর পরে মোসারফকে উঠে দাঁড়াতে বলেন তিনি। মোসারফ কী ভাবে কাজ করছেন তা অন্য বিধায়কদের শোনাতে বলেন। মোসারফ বলেন, আমি বিভিন্ন জায়গয়া ঘুরে দলের পুরনো কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছি। এদিনের বৈঠকে মমতা ফের মনে করিয়ে দেন, দলের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাঁর হাতেই।