সোমবার নবান্নে বসতে চলেছে লোকায়ুক্ত নিয়োগের বৈঠক। পাশাপাশি তথ্য কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্যও বৈঠক হবে সেদিনই। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে পারেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও থাকার কথা। উল্লেখ্য, রাজ্য স্তরে লোকায়ুক্তের মতো সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও বিধানসভার স্পিকার। সেই রীতি মেনেই শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল বৈঠকে যোগ দিতে বলে। সেই মতো সোমবার নবান্নে যেতে পারেন শুভেন্দু।
এর আগে এই বৈঠকের আমন্ত্রণ পত্র হাতে পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছিলেন, তিনি বৈঠকে ‘যোগ দিতে পারেন’। তবে চিঠির কিছু শব্দ নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল। তা তিনি নবান্নকে ‘ঠিক’ করতে বলেছিলেন। শুভেন্দুকে এর আগেও এই ধরনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এর আগে তাঁকে বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। এই প্রথম নবান্নে ডাকা হল শুভেন্দুকে। প্রসঙ্গত, বিধানসভা থেকে এখন অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ডেড রয়েছেন শুভেন্দু। এই আবহে বৈঠকের স্থান নিয়ে স্পিকার বিমানবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে তাঁর দফতরে বৈঠকটি ডাকতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই মতো নবান্নে এই বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।’
আগামী ২৩ মে বিকেল ৪টে এবং সাড়ে ৪টে এই নিয়োগ সংক্রান্ত পরপর দুটি বৈঠক হওয়র কথা নবান্নে। সেখানে যোগ দিতেই শুভেন্দুকে চিঠি দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। এই আবহে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম দুই নেতা মুখোমুখি হবেন। যা রাজ্য রাজনীতিতে বেশ তাৎপর্পূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুভেন্দু বিধানসভা থেকে সাসপেন্জেজ থাকায় যাতে এই বৈঠকে যোগ দিতে কোনও জটিলতা তৈরি না হয়, তাই মুখ্যমন্ত্রী খোদ নবান্নে এই বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্পিকারকে। এখন দেখার বিষয়, সোমবার দুই নেতা মুখোমুখি হন কি না।