শনিবার এইএম বাইপাসে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ২ হাতবাঁধা কিশোরী উদ্ধারের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, ওই ২ কিশোরীকে পাচারের চেষ্টা করছিলেন সৎ বাবা শাইতাব। রবিবার তাকে আলিপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। বিচারক তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ২ কিশোরীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শাইতাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, উদ্ধার হওয়া ২ কিশোরীর বয়স ১৩ ও ১৫। তাদের বাবার মৃত্যুর পর বারুইপুরের মল্লিকপুরে শাইতাবের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন মা। ২ কিশোরীর ঠাঁই হয় কলকাতার ট্যাংরায় ঠাকুমার কাছে। কিছুদিন আগে ২ মেয়েকে বারুইপুরে নিজের কাছে নিয়ে যান মা। অভিযোগ, সেখানে তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাত সৎ বাবা মহম্মদ শাইতাব। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সেখান থেকে পালিয়ে ঠাকুমার কাছে ফিরে আসে তারা।
শনিবার সন্ধ্যায় ২ কিশোরীকে বারুইপুরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ট্যাংরায় আসে শাইতাব। কিন্তু ২ বোন ফিরতে রাজি হয়নি। এর পর জোর করে তাদের হাত বেঁধে মোটরসাইকেলে তোলে সে। সায়েন্স সিটি পার করার পুলিশের চোখে পড়ে হাত বাঁধা ২ বোন। তাড়া করে উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের কাছে শাইতাবকে দাঁড় করান পুলিশকর্মীরা। উদ্ধার করা হয় ২ বোনকে। এর পর সাইতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ২ কিশোরীর মা।
তিনি জানিয়েছেন, বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল শাইতাব। কিন্তু সে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। এর জেরেই বিবাদের সূত্রপাত। ২ মেয়েকে ওই ব্যক্তি যৌন নির্যাতন করতেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশের অনুমান, বিয়ে দেওয়ার নামে ওই কিশোরীক পাচার করার চেষ্টায় ছিল অভিযুক্ত।