বন্ধুদের নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা বলিন্দর রাই। কিন্তু সেখানে বচসার জেরে ঘটে গেল মারামারি। তারপর সেখান থেকে ফিরে এলেও তিনদিনের মধ্যে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। তারপরই অভিযুক্ত দু’জন পলাতক। তদন্তে নেমেছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ।
তদন্তে কী উঠে এল? পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৫ মে পর্ণশ্রীর বাসিন্দা বলিন্দর গিয়েছিলেন বন্ধুদের বাড়িতে। সেখানে মারধর করা হয়। রাতে বাড়ি ফেরার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার আগে রাস্তায় পড়ে ছিলেন বলিন্দর। স্থানীয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৭ মে রাতে মৃত্যু হয় বলিন্দর রাইয়ের (৫২)।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল? এই তথ্য জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বলিন্দরের পরিবারের অভিযোগ, দুই বন্ধু বাড়িতে ঢেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলিন্দরকে। তারপর রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় কিছু লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান বলিন্দরকে। এটা পরিকল্পিত খুন বলে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
কারা মারধর করে বলিন্দরকে? পুলিশ তদন্তে নেমে তথ্য পেয়েছে, বলিন্দর রাইয়ের দুই বন্ধুর নাম মুকেশ সাউ, দিলীপ সাউ। বাড়িতে তারা নিমন্ত্রণ করে ডেকেছিল। সেখানে রাতে বচসা থেকে মারধর করা হয় বলিন্দরকে। বলিন্দরের মৃত্যুর পর পলাতক দুই বন্ধুই। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু কোন বিষয় নিয়ে বচসা থেকে মারধর হয়েছিল সেটা এখনও অজানা।