পিস্তল নিয়ে ঘোরাঘুরি করায় এক যুবককে আটক করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনা ঘটেছে। একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হাজরা মোড়ের কাছে (যেখান থেকে আটক করা হয়, সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের দূরত্ব বেশি নয়) এক যুবক ঘোরাফেরা করছিলেন। তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করা হয়। কাছে ছিল পিস্তলও। কেন সেই পিস্তল নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়। পরে পিস্তলের লাইসেন্স দেখানোয় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে। অপর একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেই ঢোকার চেষ্টা করছিলেন ওই যুবক। সেইসময় তাঁকে ধরে ফেলা হয়। যে পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে জানা গিয়েছে যে ওই যুবক সল্টলেকের একটি বেসরকারি স্কুলে কাজ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই কালীঘাটে এসেছেন বলে দাবি করেন ওই যুবক। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
SIR নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা
এমনিতে বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বুধবার অভিযোগ করেনযে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা রাজ্যের অফিসারদের ‘হুমকি দিচ্ছেন’, যা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, কমিশনের আধিকারিকরা বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগেই ‘রাজনৈতিক প্রভাবে’ কাজ করছেন। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) নামে ভোটার তালিকায় কারচুপির যে কোনও প্রচেষ্টা গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের স্বপ্ন ভেঙে খানখান! নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ‘শত্রু’ দেশের মহিলা
কমিশনকে আক্রমণ মমতার
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের হুমকি দিচ্ছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। যখন নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি, তখন কীভাবে কমিশনের আধিকারিকরা রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের তলব করতে পারেন? রাজ্যে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: 'কোকো আইল্যান্ডে চিনের...,' মায়ানমারের গুপ্তঘাঁটি চিনের, ভারতকে কী বলল জুন্টা সরকার?
সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, যেভাবে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষাকে দেখানো হচ্ছে, সেটা আদতে নয়। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার প্রাথমিক ধাপ হিসেবে এসআইআর করা হচ্ছে। বিহারে নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতে পেরেছিল, কারণ সেখানে 'ডবল ইঞ্জিন' সরকার আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেরকম পরিস্থিতি নেই বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আধার নম্বর ভুলে গিয়েছেন? চাপ নেই, এবার ১টি কলেই হবে মুশকিল আসান, কীভাবে জানুন?
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিশানা মমতার
সেই রেশ ধরে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বেশি দড়। তাঁর বিরুদ্ধেই অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সময় হলে পুরো বিষয়টি সামনে আনবেন। তিনি বিভিন্নরকম দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সেই পরিস্থিতিতে তিনি বেশি বেড়ে খেলবেন না।