ফের কলকাতার একবালপুর থানা এলাকায় দিনে দুপুরে চাঞ্চল্যকর খুন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শিলনোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে এক প্রৌঢ়াকে। নিহত আবিদা বেগম একবালপুরের সুধীর বসু রোডের বাসিন্দা। আততায়ীর আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন প্রৌঢ়ার ২ মেয়েও। ঘটনায় এক ব্যক্তি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুরসবার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ এলাকায় সবাই তখন জুম্মার নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তখনই বহুতল ওই ভবনের একটি অংশের বাসিন্দা আবিদা বেগমের ঘরে ঢোকে আততায়ী। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় মহিলা ও তাঁর ২ মেয়েকে। তার পর শিলনোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় আবিদা বেগমকে। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি নিহতের ২ মেয়ে।
আর্তনাদ শুনে পড়শিরা এসে দেখেন রক্তারক্তি কাণ্ড। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন পুলিশ। পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আবিদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এরই মধ্যে একবালপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে এক ব্যক্তি। থানায় সে দাবি করে, ৩ জনকে খুন করে এসেছে সে। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি নিহত আবিদা বেগমের দেওর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, পারিবারিক বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয়। সম্পত্তির লোভে এর আগেও এলাকায় এরকম খুন হয়েছে। এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছে বলে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।