প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পক্ষে–বিপক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন যে চার আইনজীবী, তাঁরা সকলেই তাঁর প্রাক্তন ছাত্র। মানিকবাবুর প্রাক্তন ছাত্ররা শিক্ষা সংক্রান্ত মামলাই বেশি করেন। সম্প্রতি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় হাজিরা দিতে হয়েছিল মানিকবাবুকে। সেখানে প্রাক্তন ছাত্রের উদ্দেশ্যে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘তোরা কি সবাই আমাকে জেলে পাঠাবি?’
সম্প্রতি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন আইনজীবী রাতুল বিশ্বাস, শীর্ষাণু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত সেনগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের ২০০২–০৬ সালের ছাত্র রাতুল। পাশাপাশি ২০০৪–০৯ সাল পর্যন্ত সুদীপ্ত ও বিক্রম ওই একই কলেজের ছাত্র ছিলেন। শীর্ষাণু অবশ্য ওই কলেজের ২০০৫–১০ সালের ছাত্র। এই যোগেশ চন্দ্র ল কলেজেই ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। স্বভাবতই রাতুল, সুদীপ্তরা সবাই মানিকবাবুর প্রাক্তন ছাত্র। হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে যখন এই মামলার শুনানি হয়, তখন মানিকবাবুর পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় রাতুলকে। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শীর্ষাণু। অন্যদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী হিসাবে সওয়াল করেন সুদীপ্ত ও বিক্রম।
এজলাস থেকে বেরনোর পর মানিকবাবু এক আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোরা কি আমাকে সবাই জেলে পাঠাবি? জেলের ডাল–রুটি খাব। জেলে গেলে বিশ্রাম পাব।’ এই প্রসঙ্গে আইনজীবীরা কিছু বলতে না চাইলেও মানিকবাবুর সঙ্গে তাঁদের সুসম্পর্কের কথা জানান। তাঁরা জানান, ‘শিক্ষক হিসাবে আমরা তাঁকে সম্মান করি। তবে একজন আইনজীবী হিসাবে আমাদের যা করার করতেই হচ্ছে। যার ফলে ওনার বা একটি সংস্থার বিরুদ্ধে সওয়াল করতে হচ্ছে।’