শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রায় দু’বছর পর অবশেষে জামিন পেলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে বিধায়ককে মানিককে জামিন দিলেও বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ওএমআর শিট নষ্ট করা হয় মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশেই, হাইকোর্টে ধামাকা পর্ষদের
মানিকের জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল গত ২৯ অগস্ট। এরপর মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। জামিনের আবেদন নিয়ে এর আগে মানিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই সময় মামলার আবেদনে ত্রুটি ছিল। তখন সুপ্রিম কোর্ট ত্রুটি সংশোধন করে মানিককে পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বলেছিল। সেই মতোই হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন মানিক। প্রসঙ্গত, এই মামলায় মানিক ছাড়াও তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও স্ত্রী শৌভিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে তাদের জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু, জামিন পাননি মানিক। এবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তিনিও জামিন পেলেন। যদিও জামিনের বিরোধিতা করে ইডি।
আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন দিতে গিয়ে বেশ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে। শর্ত হিসেবে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তদন্তকারী অফিসারকে মানিকের মোবাইল নম্বর দিতে হবে। তিনি যাতে কোনওভাবেই পালিয়ে যেতে না পারেন তার জন্য নিম্ন আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এমনকী কোনও সাক্ষীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করবেন না বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।পাশাপাশি মানিকের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানো বা হুমকি দেওয়ার আশঙ্কা করেছিল ইডি। এ বিষয়ে হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে কোনও সাক্ষীর উপরে খাটানো যাবে না বা হুমকি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি তদন্তকারী অফিসারদের অনুমতি ছাড়া তিনি কোথাও বাইরে যেতে পারবেন না। উল্লেখ্য, এই মামলার শুনাতিতেই আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এবার জামিন পাওয়ায় তিনি বড় স্বস্তি পেলেন।