টেট মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের পর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি যেভাবে পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে এবং যেভাবে তাঁর পরিবারের সকলের সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়েছে তা আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চের এক্তিয়ার বহির্ভূত। একইসঙ্গে সিবিআই তদন্ত করছে আবার সিঙ্গেল বেঞ্চও তাঁর সম্পত্তি হিসেবে জানতে চাইছে। এই সমান্তরাল তদন্তে তাঁর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মানিক ভট্টাচার্য।
গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মানিক ভট্টাচার্যের আবেদনের মামলার শুনানি হয়। মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেন, যেভাবে সিঙ্গেল বেঞ্চ তাঁর মক্কেলকে অপসারণ করেছে সেটা ঠিক নয়। কারণে এটি সিঙ্গেল বেঞ্চের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়। এরপরে ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে যদি দুর্নীতির অভিযোগ তাহলে সেক্ষেত্রে কেন পারে না?
মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী দাবি করেন, এই মামলায় তাঁর মক্কেলের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। এমনকি নিয়োগকারীকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠেনি। ফলে সঠিক পদ্ধতিতে তাঁকে অপসারণ করা হয়নি। তাছাড়া চাকরি প্রার্থীরা কেউ তাঁর পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য মামলা করেনি। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হলো! তার বক্তব্য, ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত করছে তার পাশাপাশি আদালত তদন্ত করে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রসঙ্গত, মানিকের সম্পত্তির যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ। তাঁর বক্তব্য, তার পরিবারের সকলের সম্পত্তির হিসাব চাওয়া সিঙ্গেল বেঞ্চের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আরও বলেন, তাঁকে হলফনামা জমা দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।