শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যের যোগসূত্র তুলে ধরে চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করল ED. তাদের দাবি, মানিক ভট্টাচার্য যে দুর্নীতিতে লিপ্ত তা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল পার্থর কাছে। পদক্ষেপ করার বদলে সেই SMS মানিকবাবুকেই ফরওয়ার্ড করে দিয়েছিলেন পার্থ।
চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোনের ফেরন্সিক পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি পার্থবাবুকে SMS-এ লেখেন, ‘দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে। কোভিডের সময়ে প্রাইভেট কলেজগুলো থেকে ছাত্রপিছু ও ৫০০ টাকা করে নিয়েছে। ছাত্রেরা দিতে না পারলে কলেজকে হুমকি দিয়েছে, তাদের হয়রান করছে। নদিয়ায় টেটের ইন্টারভিউ শেষ হয়েছে। কিন্তু ও চেয়ারম্যানকে বলেছে, ফাঁকা সাইন করা ডকুমেন্ট মাস্টার শিট জমা দিতে। ইন্টারভিউর কোনও নম্বর লিখতে বারণ করছে। আবার ও টাকা নিয়ে করবে, আবার কেস হবে। আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ এটা দেখুন। লাভ।’
দুর্গা মর্তে আসার সুযোগে মানুষের মনে পৌঁছতে চায় BJP, তুরুপের তাস মিঠুন
ইডির আরও দাবি ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থকে SMS করেন মানিক ভট্টাচার্য। লেখেন, ‘দশ মিনিট দিস, তোর বাড়ি যাব’। জবাবে পার্থ লেখেন ‘ওকে’। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি আরেকটি SMS-এ মানিকবাবু লেখেন, ‘ইন্টারভিউ স্টার্টেড অল ওভার দ্য স্টেট।’ জবাবে পার্থ লেখেন ‘tks’.
বলে রাখি, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি থাকার পাশাপাশি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নদিয়ায় প্রার্থীদের ইন্টারভিউর তালিকায় কেন তিনি নম্বর বসাতে বারণ করেছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, এত তথ্য থাকা সত্বেও মানিককে কেন গ্রেফতার করছে না ED?