নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনো পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে ৮ কোটি টাকার সম্পত্তিই মানিক ভট্টাচার্যের। মঙ্গলবার আদালতে মানিকের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে এমনই তথ্য জানাল ইডি। এছাড়া তদন্তকারীরা আদালতকে জানিয়েছেন, তাপস মণ্ডলের থেকে ৩ দফায় প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়েছেন মানিক। অফলাইনে ভর্তির নামে এই টাকা তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।
মঙ্গলবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে মানিক ও তাঁর স্ত্রী - ছেলেকে আদালতে পেশ করলে জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। আদালতে ইডি জানায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনো পর্যন্ত ৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি মানিক ভট্টাচার্য, তাঁর ঘনিষ্ঠ ও তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থার। ইডি রিমান্ড লেটারে জানিয়েছে, ২০১২ ও ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে পাশ করিয়ে দিয়ে মোট ১০০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কুন্তল ঘোষ। এই দুর্নীতির ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবহিত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।
ইডি আরও জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালে গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত ডিএলএডে অফলাইন ভর্তির নামে তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নিয়েছেন মানিক। লোক পাঠিয়ে ৩ দফায় সেই টাকা নিয়েছেন তিনি। এমনকী মানিক এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁকে এখনো বহিষ্কার করেনি তাঁর দল। মানিক দেশ থেকে কোনও টাকা না নিয়ে গিয়ে একের পর এক বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। ইডির গোয়েন্দাদের দাবি, হাওয়ালার মাধ্যমে দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করেছেন মানিক ভট্টাচার্য।