প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সংসদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচী চক্রবর্তীকে জেরা করে বিস্ফোরক তথ্য পেল ইডি। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টিই জানতেন মানিক ভট্টাচার্য। যদিও সপ্তাহখানেক আগে আদালতে হাজির হয়ে মানিক জানিয়েছিলেন, এব্যাপারে কিছু মনে পড়ছে না তাঁর।
মঙ্গলবার ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন রত্নাদেবী। সূত্রের খবর, জেরায় তিনি জানিয়েছেন, ‘মানিকবাবুই সব জানতেন। পুরো ডিলটাই ছিল রহস্যে মোড়া। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি কারা চালায় তা শুধু মানিকবাবুই জানেন। তিনিই নির্দেশ দিতেন, তিনিই দেখা করতেন। আমরা জানতাম কনফিডেন্সিয়াল প্রসেস বলে কাউকে ইমেল করা হচ্ছে। সেখান থেকে ইমেল আসছে। এর বাইরে সংস্থা সম্পর্কে আমরা কিছু জানতাম না।’
গত ৫ এপ্রিল মানিক ভট্টাচার্যকে হাইকোর্টে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি। জানতে চান এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি সম্পর্কে। যদিও অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর ‘মনে নেই’ বলে এড়িয়ে যান মানিক।
তদন্তে উঠে এসেছে, কোনও টেন্ডার ছাড়াই ২০১৪ সালের টেটে ওএমআর শিট পরীক্ষা করার বরাত পেয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এমনকী ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় সংস্থাকে। যদিও সংসদের সাফাই, বিগত পরীক্ষাগুলিতে কাজের মান ভালো হওয়ায় ও অন্য কেউ দরপত্র না দেওয়ায় ওই সংস্থাকেই বরাত দেওয়া হয়েছে।
রত্নাদেবীকে জেরা করে ইডি যে তথ্য পেয়েছে তাতে মানিক ভট্টাচার্যের চাপ আরও বেড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।