‘আমি শিক্ষক, কোনও মিথ্যে তথ্য দেব না।’ প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার দুপুরে হাজিরা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। হাইকোর্টে ২৮ টি প্রশ্নের মুখে পড়েন। তাঁর জন্মতারিখ, পরিচয়-সহ বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সেইসব প্রশ্নের মুখে মানিক দাবি করেন, ‘আমি শিক্ষক, কোনও মিথ্যে তথ্য দেব না।’
আরও পড়ুন: Primary TET Scam: স্ত্রী, সন্তান, বউমা, নিজের সম্পত্তি কত? TET মামলায় মানিককে হিসাব দিতে বলল আদালত
হাইকোর্টের নির্দেশ
তারইমধ্যে আগামী ৫ জুলাইয়ের মধ্যে মানিকের পুরো পরিবারের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হলফনামা আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মানিকের স্ত্রী, ছেলে এবং বউমা কত সম্পত্তির মালিক, তাও জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, বিয়ের আগে পর্যন্ত মানিকের মেয়ের নামে কত সম্পত্তি ছিল, তাও বিস্তারিতভাবে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে কড়া ভাষায় হাইকোর্ট জানিয়েছে, সেই হিসাব দেওযার পর মানিক পরবর্তীতে আর দাবি করতে পারবেন না যে তিনি কোনও সম্পত্তির তথ্য দেননি।
প্রাথমিক টেটে অনিয়ম
২০১৪ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরের বছর ১১ অক্টোবর টেট হয়েছিল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন রমেশ আলি। তিনি দাবি করেন, দুর্নীতির জন্য দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।