নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের খোঁজ পেতে আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি। সম্ভবত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হতে পারে আদালতে। ইডি সূত্রের খবর, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মানিকবাবুকে পাওয়া যাচ্ছে না। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ফোনেও।
নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকবাবুকে একাধিকবার ইডি তলব করলেও তিনি এখনো পর্যন্ত একবারই হাজিরা দিয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। গত ১৫ অগাস্ট তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু প্রাক্তন সংসদ সভাপতির দেখা মেলেনি। এর পর তাঁর VIP রোডের ফ্ল্যাটে ও নদিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। ২ জায়গাতেই ঝুলছে তারা। মানিকবাবু যে ফোন নম্বর ইডিকে দিয়েছিলেন সেটিও বন্ধ বলে জানা যাচ্ছে।
নদিয়ার মানিকবাবু ভিটেবাড়ি। সেখানকার বিধায়কও তিনি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গত ১ মাস আগেও সেখানে দলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেনা মানিকবাবু। কিন্তু তার পর থেকে তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়েছিল আদালত। অবশেষে মঙ্গলবার সেই পরামর্শ মেনে মানিকবাবুকে অপসারণ করে শিক্ষা দফতর।
‘এবার থেকে প্রত্যেক বছর নির্দিষ্ট সময় টেট হবে’, জানিয়ে দিলেন নয়া পর্ষদ সভাপতি
মানিকবাবুকে নাগালে পেতে বৃহস্পতিবার আদালতে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে তারা। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে জারি হতে পারে রেড কর্নার নোটিশ।
SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকবাবুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছে সিবিআই ও ইডি। ইতিমধ্যে তাঁকে সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।