টাকা নিতে তাঁর অফিসে লোক পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্য। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে এসে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। বুধবার তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, লোক পাঠিয়ে তাঁর মহিষবাথানের দফতর থেকে টাকা ও ফাইল নিয়ে যেতেন মানিকবাবুর পাঠানো কর্মীরা।
এদিন ইডি দফতরে ঢুকলে মানিকবাবুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘ইডি বলছে যে অফলাইনে ছাত্রভর্তির টাকা আপনার মহিষবাথানের অফিস থেকে মানিক ভট্টাচার্যের কাছে যেত। কী ভাবে যেত যদি আপনি বলেন’। জবাবে লিফটের দিকে হাঁটতে হাঁটতেই তাপসবাবু বলেন, ‘লোক পাঠাত। আমার কর্মীরা আমাকে তাই বলেছেন। তারাই ফাইল নিয়ে যেত’। সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘কার কাছে টাকা যেত’? জবাবে তাপসবাবু বলেন, ‘নিশ্চই উনিই লোক পাঠাতেন, ওনার কাছেই যেত?’ তখন সাংবাদিকরা সেই ব্যক্তির নাম বলতে অনুরোধ করেন। ততক্ষণে লিফটে উঠে গিয়েছেন তাপসবাবু। দরজা বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে তিনি বলেন, ‘মানিকবাবুর কাছে।’
‘চাকরি দিতে পারেন কেবল মা জগদ্ধাত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, মন্তব্য মিত্র মদনের
ইডির দাবি, অফলাইনে ভর্তির নামে রাজ্যের ৬০০ ডিএলএড প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রতিটি ছাত্রকে অফলাইনে ভর্তি হতে দিতে হত বাড়তি ৫,০০০ টাকা। সেই টাকা তাপসবাবুর হাত ঘুরে যেত মানিকবাবুর কাছে। এদিন সরাসরি সেকথা স্বীকার করে নিলেন তাপসবাবু।