কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎই ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর এই আচমকা ইস্তফাকে কেন্দ্র করে জল্পনা শুরু হয়েছে চিকিৎসক মহলে। ইস্তফার কারণ হিসেবে তিনি নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করলেও অবশ্য তা মেনে নিতে চাইছেন না চিকিৎসক মহলের একাংশ। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অফথ্যালমল বা আর এই ও ভবন ,যেটি রাজ্যের একমাত্র চক্ষু হাসপাতাল তা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে মতান্তর তৈরি হয়েছিল মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই তিনি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
যদিও, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন,শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এই পদ সামলাতে পারছেন না। আগামী বছরের জুন মাস অবধি তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল। অবসর গ্রহণের পর তাকে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছিল। এই অবস্থায় কাকে মেডিকেল কলেজের পরবর্তী অধ্যক্ষ করা হবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে মেডিকেল কলেজের পরবর্তী অধ্যক্ষ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৩ সালে তৈরি আর আই ও ভবনটি ভেঙে সেখানে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রাথমিকভাবে মেডিকেল কলেজের এজরা বিল্ডিংয়ে ট্রমা সেন্টার খোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই বিল্ডিংয়ে জায়গা কম থাকায় সেখানে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার করা সম্ভব নয় বলে মতামত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপরে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার তৈরি করা নিয়ে জায়গা ঠিক করতে শুরু করে স্বাস্থ্য ভবন। শেষমেষ আর আই ও ভবনটি ভেঙে সেখানে লেভেল ওয়ান ট্রমা সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজ্যের একমাত্র চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ আসেন। সেই কারণে আরআইও'কে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এনআরএস হাসপাতালের পাশের একটি জায়গা ফাঁকা রয়েছে। সেখানেই নতুন আরআইও ভবন তৈরি করা হবে। তবে নতুন আরআইও ভবন তৈরি না হওয়া অবধি পুরনো আরআইও ভবনকে ভাঙ্গা হবে না বলেই জানানো হয়েছে।