এক সময় কলকাতার রাস্তায় ২০০-এর বেশি রুটে বাস চলত। কিন্তু, ক্রমেই সেই বাস রুট নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। খাতায়কলমে এই বাসরুট থাকলেও যাত্রী না হওয়ায় এখন এই সমস্ত রুটে আর বাস চলে না। অটো এবং টোটোর দাপটে কলকাতায় বাসরুট কমতে কমতে প্রায় অর্ধেক হয়ে যেতে বসেছে। আবার কোনও কোনও রুটে দিনে মাত্র একটি বা দুটি করে বাস চলে। এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ রুটে বাসের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে টোটো এবং অটো বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বাস মালিকরা। এনিয়ে তারা আর্জি জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পুরনো পারমিটে নতুন বাস চালাতে শর্ত দিল পরিবহণ দফতর, জারি হয়েছে নির্দেশিকা
বাস মালিকদের অভিযোগ, এই সমস্ত রুটগুলিতে টোটো এবং অটোচালকদের যাত্রী টেনে নেওয়ার প্রবণতা থাকায় বাসগুলিতে যাত্রী হয় না। তাই সেখানে লোকসানে বাস চালাতে নারাজ মালিকরা। এদিকে, একাধিক নতুন রুটে বাস চালানোর পারমিট দিতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। কিন্তু, যাত্রী না হওয়ার আশঙ্কায় বাস মালিকেরা সেই পারমিট নিতে চাইছেন না।
মালিকদের অভিযোগ, শুধু মাত্র অটো এবং টোটোর কারণে কমপক্ষে ৩৫টি রুট প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তাদের আশঙ্কা অক্টোবরের পর আরও বহু রুটে বাস কমে যাবে। তারফলে সেই সংখ্যাটা অর্ধেক হয়ে যাবে। তাই সেক্ষেত্রে অবিলম্বে প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। অটো এবং টোটোর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বাস রুটগুলির অন্যতম হল হাওড়ার চ্যাটার্জি হাট। একসময় হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ৫৮ নম্বর রুটে ২০টি বাস চলত। তবে বর্তমানে একটিও বাস চলে না। এছাড়া, রামরাজাতলা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ৫২ নম্বর রুটে আগে ৩৫টি বাস চলত। বর্তমানে সেখানে শুধু ১০টি বাস চলে। ডোমজুড়-হাওড়া রুটে আগে ৩০টি বাস চলত । এখন কোনও বাস চলে না। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক বাস রুট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলকাতায় মিনি বাসও ক্ষতিগ্রস্ হতে বসেছে। যাদবপুর-এয়ারপোর্ট, জয়েনপুর-অরবিন্দ সেতু আরও বহু রুটে মিনিবাস কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, একাধিক রাস্তায় অটোর বাড়বাড়ন্তের ফলে যানজট তৈরি হচ্ছে।
এবিষয়ে বাস চালকের সংগঠনগুলির দাবি, অবিলম্বে অটো এবং টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে আরও বহু বাস বসে যাবে এ নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। ‘শহরের মূল রাস্তায় অটো-টোটো বাড়লে গণপরিবহণ ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাবে।বাসমালিকদের দাবি, অবিলম্বে বেআইনি অটো আটকাতে হবে।