নিয়োগের সুপারিশপত্র থাকা সত্ত্বেও স্কুলে যোগ দিতে পারছেন না উচ্চ প্রাথমিকের অনেক প্রার্থী। যার ফলে তারা সমস্যায় পড়েছেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযোগ উঠছিল। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করার করতে চায়ছে শিক্ষা দফতর। এ বিষয়ে দফতরের তরফে নির্দেশিকা প্রকাশ করবে। মূলত বিভিন্ন স্কুলে ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন কমিটি না থাকা বা প্রশাসক না থাকার ফলেই সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রার্থীদের। আবার অনেক ক্ষেত্রে জেলা স্কুল পরিদর্শকের উদ্যোগের অভাবের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: SSC কেলেঙ্কারি, দুজনকে গ্রেফতার করল ইডি, বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, চমকে যাবেন!
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, অনেক এমন স্কুল রয়েছে যেগুলিতে ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালনা সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে সেই স্কুলগুলিতে কোনও কমিটি নেই সাধারণত সেই সমস্ত স্কুলে চাকরিপ্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র নিয়ে গেলেও নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না। কারণ উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন সমিতি নিয়োগ পত্র দিয়ে থাকে। ফলে তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না।
আবার একাংশের অভিযোগ, অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সদ্য ক্লাস শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই স্কুলে কোনও প্রশাসক না থাকায় নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না চাকরিপ্রার্থীরা। ফলে স্কুলে তারা যোগ দিতে পারছেন না। তাছাড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে কোনও নির্দেশ না আসায় সমস্যা হচ্ছে। আবার অনেক স্কুলে যোগ দিতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে আগেই সেই রস্টারে শিক্ষক বদলি হয়ে চলে এসেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শিক্ষা দফতর। তাদের বক্তব্য, কোনও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বা পরিচালন সমিতি না থাকলে সে বিষয়টি প্রধান শিক্ষকদের জানানো উচিত ডিআই অথবা জেলা স্কুল পরিদর্শককে। এরপর ডিআই কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনের অনুমতি নিয়ে স্কুলে প্রার্থীকে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। তাই এটা নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন প্রার্থী নামের বানান ভুল বা স্কুলের নামে ভুল থাকলে চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। মূলত এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন অবশ্য দাবি করেছে যে তাদের তরফে কোনও খামতি নেই। কোনও সমস্যা থাকলে সেটা শিক্ষা দফতরকে জানানো হচ্ছে। এদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠনের অভিযোগ এসএসসি উদ্যোগী হলেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জেলা স্কুল পরিদর্শকরা ঠিকমতো উদ্যোগী নন। তাই এই সমস্যা হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের তরফে জেলা স্কুল পরিদর্শককে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।