কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যেতেই মেট্রোর ভিড়ের সংখ্যা বাড়ছে। সেইসঙ্গে স্মার্টকার্ডের সিকিউরিটি ডিপোজিট ফেরত নেওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে করোনাভাইরাস আবহে কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন মেট্রোর আধিকারিকরা? তবে ভিড় সামলাতে এখনও টোকেনের বদলে স্মার্টকার্ড চালু রাখারই পক্ষপাতী মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
জানা যাচ্ছে, গত ১৬ নভেম্বর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন কলকাতা মেট্রোর আয় বাড়ল প্রায় ৬০ লাখ টাকা। যাত্রী সংখ্যা বাড়ল প্রায় ৩৮ হাজার। দু'লাখ ৯৬ হাজার থেকে একলাফে বেড়ে হয়ে গেল ৩ লাখ ৩৪ হাজার। যাত্রীসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আয় বাড়লেও মেট্রো আধিকারিকদের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্য জায়গা। কলকাতা মেট্রোয় ২৭ টি স্টেশনে স্মার্টকার্ড জমা দিয়ে সিকিউরিটি ডিপোজিট তুলে নিচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার যাত্রী স্মার্টকার্ড জমা দিয়ে সিকিউরিটি ডিপোজিট তুলে নিচ্ছেন। প্রতিদিন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মেট্রোর কাউন্টার থেকে ফেরত দিতে হচ্ছে। অনেকেই মেট্রোয় একদফা কার্ড কিনে দিনের শেষে তা ফেরত দিয়ে সিকিউরিটি ডিপোজিট নিয়ে নিচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে এখনও স্মার্ট কার্ড চালু রাখার ব্যাপারে পক্ষপাতী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষের মতে, ‘যাত্রীদের সুবিধার জন্যই স্মার্ট কার্ড চালু হয়েছে। কেউ হয়ত স্মার্ট কার্ড নিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু সামনের এক বছরের মধ্যে কেউ মেট্রোয় চলবেন না, এমনটা নাও হতে পারে। যেহেতু স্মার্ট কার্ড টোকেনের মতো হাতে হাতে ঘোরে না, তাঁদের ক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ড অনেকটাই নিরাপদ।’ তবে কিছুদিনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ফের টোকেন ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে মেট্রোয়।