দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরির পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই মতো চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে কালীঘাটে স্কাইওয়াকের নির্মাণ কাজ। এক বছরের মধ্যে এই স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও এখন এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জট দেখা গিয়েছে। যার ফলে আদৌ এই স্কাইওয়াক নির্মাণ এক বছরের মধ্যে তৈরি সম্পন্ন হবে কি না তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীঘাট স্কাইওয়াকটি প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা এবং চওড়া হবে ১০ মিটার। এর জন্য খরচ ধার্য করা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এই স্কাইওয়াকের একটি কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ রোড পর্যন্ত যাবে এবং অন্যটি কালীঘাট থানার পাশে গুরুপদ হালদার রোডের দিকে যাবে। সমস্যা দেখা দিয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দিকে। প্রথমে হকার সমস্যার জন্য স্কাইওয়াক নির্মাণ বন্ধ হয়েছিল। পরে এই কাজ শুরু হলেও স্কাইওয়াক তৈরির পথে জল নিকাশি এবং জলের লাইন থাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় স্কাইওয়াক নির্মাণে সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এই স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য ৩৮ টি স্তম্ভ তৈরি করা হবে যা মাটির নিচে ৪০ মিটার ভূগর্ভে প্রবেশ করবে। পুরসভা সূত্রে খবর, মাটির নিচে ৪০ মিটার পাইলিং করতে গিয়ে পুরনো নিকাশি লাইন থাকায় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন হাইড্রোলিক মেশিনের সাহায্যে চলছে মাটি খোঁড়ার কাজ। যে পথে পাইলিং করার সেই রয়েছে সেই পথে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের তৈরি ইটের নিকাশি। তার সঙ্গে আরও বেশকিছু নিকাশি সংযোগ রয়েছে। এখন জলের লাইনের গতিপথ বদলানো সম্ভব হলেও নিকাশি লাইনের গতিপথ বদলানো সম্ভব হয়নি। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা এই স্কাইওয়াজ নির্মাণে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে নিকাশি লাইন ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তৎক্ষণাৎ সেগুলি মেরামতি করার জন্য তদারকি সংস্থাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।