রাতের বেলায় হকার উচ্ছেদে অভিযান চালাল প্রশাসন। নিউটউনের পাচুরিয়া সর্দারপাড়ায় নিউটাউন উন্নয়ন পর্ষদের তরফে বুলডোজার চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, দোকানের ভিতরে অনেক টাকার জিনিসপত্র ছিল। কিন্তু, সেগুলি সরানোর সময় না দিয়েই দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাদের হাজার হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘TMC নেতাদের বাড়িতে চুরি করুন’ হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে নেমে নিদান কংগ্রেস নেতার
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএলএফ ২ বিল্ডিংয়ের কাছের ফুটপাতে একাধিক দোকান রয়েছে। সেই দোকানগুলি বৃহস্পতিবার রাতে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। দোকানগুলি বেড়া এবং টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কারও ২৫ হাজার টাকা, আবার কারও ৫০ হাজার টাকার সামগ্রী ছিল দোকানের ভিতরে। সেক্ষেত্রে তাদের সময় দিতে পারতো প্রশাসন। কিন্তু, এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
তাদের বক্তব্য, যদি কিছু সামগ্রী বাঁচানো যেত তাহলে অন্তত তাদের এত বড় ক্ষতি হতো না। এনিয়ে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন ব্যবসায়ীরা। যদিও নিউটাউন উন্নয়ন পর্ষদের দাবি, এর আগে এলাকায় সার্ভে করা হয়েছিল। তখন ফুটপাথ দখল করে থাকা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছিল। সেই মতো এদিন ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে এদিন মোতায়েন ছিল প্রচুর পরিমাণে পুলিশ। অভিযান চলাকালীন সেখানে ভিড় জমাতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। তখন পুলিশের তরফের মাইকিং করে ভিড় না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মাসে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনিভাবে নির্মাণ, জলাশয় ভরাট, ফুটপাত ও জমি দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই অ্যাকশন মোডে নামতে দেখা যায় পুলিশ প্রশাসন ও পুরসভাকে। জায়গায় জায়গায় অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। তবে তা নিয়ে প্রতিবাদ তৈরি হতেই মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযানে বিরতি দেন। তবে ফুটপাথ দখল করে থাকা ব্যবসায়ীদেরও সময় দেন। এর পাশাপাশি হকারদের পুনর্বাসনের জন্য জমি দেখারও নির্দেশ দেন। তার মধ্যেই এদিন ফের অভিযানে নামল প্রশাসন। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক দোকান। তারফলে হতাশ ব্যবসায়ীরা।