বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সরকারি স্কুল, লটারি ছাড়াই ভর্তি, বেসরকারি স্কুলে বাড়ছে ভিড়

ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সরকারি স্কুল, লটারি ছাড়াই ভর্তি, বেসরকারি স্কুলে বাড়ছে ভিড়

স্কুলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা (PTI)

সামর্থ্য না থাকলেও অনেকেই তাঁদের সন্তানকে ধার দেনা করেও বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়ামে ভর্তি করতে চাইছেন। যার জেরে ক্রমেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সরকারি স্কুল। ছাত্র ছাত্রীর ভয়াবহ আকাল তৈরি হয়েছে।

যত দিন যাচ্ছে সরকারি স্কুলের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন অভিভাবকদের অনেকেই। আসলে সরকারি স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করতে ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা। আর তার জেরে ক্রমেই সরকারি স্কুলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ অভিভাবকরা। ছাত্র ভর্তি করাটাই এখন সরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে সাধারণত লটারির মাধ্যমে সরকারি স্কুলে ছাত্র ভরতির নজির রয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে লটারি ছাড়াই ছাত্র ভর্তির দিকে ঝুঁকছে সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আসলে ছাত্র ভর্তি করাটাই এখন মূল লক্ষ্য। সেকারণে লটারি ছাড়াই ভর্তি করা হচ্ছে পড়ুয়াদের। এটাই কার্যত অলিখিত প্রথা হয়ে যাচ্ছে বাংলার একাধিক স্কুলে। কারণ সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের প্রতি সাধারণ অভিভাবকদের ক্রমেই অনীহা বাড়ছে।

একটা সময় ছাত্র ভর্তিতে পরীক্ষার ব্য়বস্থা ছিল। সেই ভর্তি পরীক্ষায় পাশ না করলে সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রী ভর্তি হতে পারত না। তথাকথিত ভালো স্কুলে ভর্তি হতে গেলে পরীক্ষায় বসতে হত। আর সেই পরীক্ষার পাশ করতে না পারলে ভর্তি হতে পারত না অনেকেই। এর জেরে ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতেন না অনেকেই। পরবর্তী সময়ে তথাকথিত ভালো স্কুলের পাশাপাশি সাধারণ স্কুলেও শুরু হয় লটারি প্রথা। লটারিতে নাম উঠলেই ভর্তি হওয়া যেত সংশ্লিষ্ট স্কুলে। তবে এবার সেই লটারি প্রথাও তুলে দিতে চাইছে একাধিক স্কুল। কারণ ছাত্র ভর্তির আকাল।

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল বাংলার সরকারি স্কুলে? আসলে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারি স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে ভরসা পাচ্ছেন না অনেকেই। সামর্থ্য না থাকলেও অনেকেই তাঁদের সন্তানকে ধার দেনা করেও বেসরকারি ইংরেজি মিডিয়ামে ভর্তি করতে চাইছেন। যার জেরে ক্রমেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সরকারি স্কুল। ছাত্র ছাত্রীর ভয়াবহ আকাল তৈরি হয়েছে। সেকারণে ছাত্র এলেই ভর্তি করে নিতে চাইছে সরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি স্কুলে যখন ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তখন সরকারি স্কুলে লটারি প্রথাই কার্যত তুলে দেওয়া হচ্ছে। আসলে লটারি করার আর প্রয়োজনই হচ্ছে না। স্কুলে কেউ ভর্তি হতে এলেই কার্যত কৃতার্থ্য় হয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুল সর্বত্র একই ছবি। বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল ফুলে ফেঁপে উঠছে আর সরকারি স্কুলে কার্যত মাছি তাড়াচছেন শিক্ষকরা। বিশেষত কলকাতা শহরের একাধিক স্কুলে এই করুণ ছবি দেখা যাচ্ছে বলে খবর।

 

বন্ধ করুন