রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য শিয়ালদা বিভাগে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে কাজ। ফলে গতরাত থেকেই একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শনিবার রাতে শেষ ট্রেন বাতিল হওয়ায় তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ হয় শিয়ালদা স্টেশনে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের অফিসে বিক্ষোভ করেন। দীর্ঘক্ষণ চলে সেই বিক্ষোভ। এছাড়া রবিবার সকালেও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলে। তার ফলে এদিনও বাতিল করা হয় একগুচ্ছ ট্রেন।
আরও পড়ুন: শনিবার দিনভর লোকাল ট্রেন বাতিল ওই লাইনে, ১০ ঘণ্টা পাওয়ার ব্লক, পুরো তালিকা রইল
জানা গিয়েছে, শিয়ালদা থেকে বনগাঁগামী শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সেই লোকাল বাতিল করে দেওয়া হয়। এদিকে, শেষ ট্রেন পাওয়ার জন্য প্রতিদিনকার মতোই শিয়ালদা স্টেশনে অসংখ্য যাত্রী ভিড় করেন। কিন্তু, স্টেশনে পৌঁছে তারা জানতে পারেন বনগাঁর শেষ ট্রেন বাতিল রয়েছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে তুমুল ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
পরে যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন বাতিল হলেও ১১টা ৪০ মিনিটে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ট্রেন বাতিল করার পরেও কেন টিকিট দেওয়া হল? তাই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। যদিও স্টেশন মাস্টার জানিয়ে দেন, আগেই ট্রেন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য রবিবারও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- আপ শিয়ালদা-বারাসত (৩৩৪৩১), ডাউন বারাসত-শিয়ালদহ (৩৩৪৩২), ডাউন শিয়ালদা-নৈহাটি (৩১৪২২), আপ শিয়ালদা-বনগাঁ (৩৩৮১১), ডাউন বনগাঁ-শিয়ালদা (৩৩৮১৭, ৩৩৮৩৪, ৩৩৮২৬), আপ শিয়ালদা-হাসনাবাদ (৩৩৬৫১), ডাউন হাসনাবাদ-শিয়ালদা (৩৩৬৫২), ডাউন শিয়ালদা-দত্তপুকুর (৩৩৬১২, ৩৩৬১৬), আপ বারাসত-দত্তপুকুর (৩৩৩৫৭), আপ শিয়ালদা-ডানকুনি (৩২২১১, ৩২২১৩, ৩২২১৫, ৩২২১৭), আপ বিবাদী বাগ-শিয়ালদা (৩৪১১৭) লোকালের মতো ট্রেন।
অন্যদিকে, রবিবার ৩১০৫১ আপ বজবজ-নৈহাটি লোকাল পার্ক সার্কাস হয়ে শিয়ালদা (দক্ষিণ) পর্যন্ত যাতায়াত করে। একইভাবে ৩১০৫২ ডাউন নৈহাটি-বজবজ লোকাল শিয়ালদা (উত্তর) পর্যন্ত যাতায়াত করে। এ ছাড়াও বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। রবিবার ৩৩৫১২ ডাউন হাসনাবাদ-শিয়ালদা লোকাল বিকেল ৪টে ৫ মিনিটে ছাড়বে। অন্যদিকে, ১২৩৭৮ নিউ আলিপুরদুয়ার-শিয়াদা পদাতিক এক্সপ্রেস, ১২৩৪৪ হলদিবাড়ি-শিয়ালদা দার্জিলিং মেল, ১৩১৪৮ বামনহাট-শিয়ালদা উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে।