পুজো চলে এসেছে। কিন্তু, আরজি করের ঘটনার জেরে এখনও মন খারাপ নাগরিকদের। এই আবহে এবার পুজোয় ব্যবসা কেমন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, পুজোর আগে শেষ রবিবার সেই হতাশাকে ছাপিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠল বাজার। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার সব বাজার, শপিংমলগুলিতে দেখা গেল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট থেকে শুরু করে হাতিবাগান এবং অন্যান্য বাজারগুলিতে ক্রেতাদের ভিড়ে কার্যত পা ফেলার জায়গা ছিল না।
আরও পড়ুন: রোদ-বৃষ্টিতে ঠাকুর দেখতে গিয়ে হতে পারে সর্দিগর্মি, সুস্থ থাকতে যা করবেন
শুধু কলকাতায় নয়, শহরতলি থেকেও এদিন বহু মানুষ হাজির হয়েছিলেন শহরের বিভিন্ন বাজার এবং শপিংমলগুলিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে এবার পুজোর বাজার প্রথম থেকেই মন্দা ছিল। তবে এদিন এক ধাক্কায় অনেকটাই স্বস্তি পেলেন ব্যবসায়ীরা। তাদের কথায়, অনেকদিন পরে এই শহরটাকে আবার চেনা বলে মনে হল। দোকানে দোকানে ক্রেতাদের দর কষাকষি, ভিড় সামাল দিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। সেটাই হল কলকাতার প্রাণ।
ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেছেন, আরজি করের ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু, কেনাবেচা বন্ধ হয়ে গেলে তো পেট চলবে না। তাই তারা চেয়েছিলেন প্রতিবাদ থাকুক কিন্তু, মানুষ যেন কেনা কাটা করে। আর সেই ক্রেতাদের ভির রবিবার দেখতে পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। গড়িয়াহাটে এদিন ভিড় হাতিবাগানকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল। গড়িয়াহাটের এক ব্যবসার কথায়, এ বছর প্রথম থেকে পুজোর বাজার খারাপ ছিল। আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন আন্দোলন বিক্ষোভ চলছিল। তাতে তারা ব্যবসায় ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছিলেন। তবে পুজোর বাজার আবার ঘুরতে শুরু করেছে। আবার একটু ভালো লাগছে।
নিউমার্কেটে ক্রেতাদের উপচে ভিড়ে কার্যত পা ফেলার জায়গা ছিল না। কোনওভাবে ভিড় ঠেলে দোকানে দোকানে পৌঁছতে হয়েছে ক্রেতাদের। এক ক্রেতার কথায়, পুজো শুধু উৎসব নয়, এটা একটা ঐতিহ্য। অনেক বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে দেখা হয়। উপহার দেওয়া। নেওয়া হয়। এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে তবে উৎসবের মাঝেও কোথাও যেন বিষাদের একটা সুর রয়েছে। আরজি করের প্রতিবাদে ধর্মতলাতেই অনশন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তার। তাই উৎসবের আনন্দে যাতে বিচারের দাবি চাপা পড়ে না যায় তার জন্য অনেকেই আবার কেনাকাটা সেরে ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আর অনেকেই ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ স্লোগান দিচ্ছেন।