রাত পোহালেই একুশে জুলাই। শহিদ তর্পণ করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–নেত্রীরা। তবে এবারের একুশে জুলাই যে অন্যান্যবারের থেকে পৃথকমাত্রা যোগ করবে সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। কারণ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য এবং উপনির্বাচনে ২–০, ৪–০ ফলাফলে বিজেপিকে বাংলার মাটিতে পর্যদুস্ত করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে সামনের অংশে স্টেজ চওড়ায় কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। সেখানে থাকছে তৃণমূল সুপ্রিমোর জন্য আলাদা র্যাম্প। আর সেই মঞ্চ বাঁধার কাজ এখন শেষ লগ্নে। ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল।
ইতিমধ্যেই একুশে জুলাইয়ে প্রস্তুতি প্রায় শেষ লগ্নে। প্রত্যেক জেলা থেকে নেতা–কর্মী থেকে সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। মঞ্চ থেকে শুরু করে গোটা পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। কলকাতা থেকে জেলায় সর্বত্র প্রস্তুতি শেষ লগ্নে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র–সহ একাধিক গেস্ট হাউসগুলিতে থাকতে শুরু করেছেন নেতা–কর্মীরা। এবার একুশের মঞ্চ অত্যন্ত পোক্ত করা হয়েছে। ব্যাকড্রপ অনেকটা মোটা করা হয়েছে। ৪০ ফুট বাই ৩০ ফুট। এবারই ঝড়বৃষ্টির কথা ভেবে তা করা হয়েছে। মূল মঞ্চ আরও চওড়া করা হচ্ছে। ১৩টি জায়ান্ট স্ক্রিন থাকছে। আর চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
এবারের একুশে জুলাই অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকেও নেতা–কর্মী–সমর্থকরা রওনা দিয়েছেন। এখন থেকেই একুশে জুলাইয়ের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এখান থেকেই আগামীর দিশা দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মঞ্চের সামনের অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। তার মাপ ৫২ ফুট বাই ২৮ এবং উচ্চতা ১০ ফুট। এই মঞ্চ আগে ৪৮ ফুট হতো। ‘এল’ আকৃতির মঞ্চ চওড়ায় ৪ ফুট বাড়ছে। মঞ্চের দ্বিতীয় ভাগ হচ্ছে ৪৮ ফুট বাই ২৪ ফুট এবং উচ্চতা ১১ ফুট। আর মঞ্চের তৃতীয় ভাগ হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ২০ ফুট এবং উচ্চতা ১২ ফুট।
আরও পড়ুন: ‘২১ জুলাই বাংলার ইতিহাসে রক্তঝরা এক দিন’, এক্স হ্যান্ডেলে আজ বার্তা দিলেন মমতা
এই সমাবেশে ইন্ডিয়া জোটের আর কারা আসবেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেটা নিয়ে তেমন কিছু লেখেননি দলনেত্রী। তবে অখিলেশ যাদব আসছেন একুশের মঞ্চে। আর কয়েকজন আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এবার মঞ্চের প্রথম ভাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বসবেন। বাকি দুটি মঞ্চে থাকবেন সাংসদ, বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পৃথক র্যাম্প এবং মন্ত্রীদের জন্য পৃথক র্যাম্প তৈরি হচ্ছে। একুশে জুলাই নিয়ে মানুষের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘ধর্মতলায় এবারের শহিদ স্মরণ তথা মা–মাটি–মানুষ দিবস অনুষ্ঠানে আমি বাংলার সকল মানুষকে আমন্ত্রণ জানাই। আপনাদের সবার সাগ্রহ উপস্থিতিতে এবারের সমাবেশও অন্যবারের মতো সাফল্যমণ্ডিত হবে, এই বিশ্বাস আমি রাখি। ২১শে জুলাই অশ্রু সজল রক্তে লেখা নাম, শহিদ স্মরণে রইলো মোদের হাজার হাজার সেলাম।’