জয়দীপ ঠাকুর
আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসের পর তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী ২ জেলায় সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান মজুত করতে শুরু করেছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গেই এলে শেষ মুহূর্তে সেখানে সরাতে হতে পারে কয়েক লক্ষ উপকূলবাসীকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘করোনা সংক্রমণের জেরে এই প্রথমবার মাস্ক ও স্যানিটাইজারের মতো জিনিস সাইক্লোন সেন্টারে মজুত করছে প্রশাসন। সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাত কাটাবেন। আমাদের লক্ষ্য সেখান থেকে যেন করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়।’
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে রবিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি। রবিবারের রাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে সেটি। সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত ওড়িশা উপকূল ধরে ঝড়টি এগোবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। সম্ভবত বুধবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানবে আমফান।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বিডিও দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি এড়াতে নিচু এলাকাগুলির হাজার হাজার মানুষকে সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে এনে রাখা হবে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় সেখানেও মেনে চলতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি। সেজন্য আমরা সাইক্লোন সেন্টারের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। ভিড় এড়াতে বিভিন্ন স্কুলে রাখা হবে দুর্গতদের। স্কুল বন্ধ থাকায় পঠনপাঠনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’
কন্টাই মহকুমায় বাস প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষের। বুলবুলের সময় তার মধ্যে ৪৫,০০০ মানুষকে সরাতে হয়েছিল। কাকদ্বীপে ১১টি সাইক্লোন সেন্টারের সঙ্গে ৬৪ স্কুল ভবনকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। খাবার ও জলের সঙ্গে সেখানে মজুত রাখা হচ্ছে সাবান, মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
দিব্যেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৫০০-৮০০ মাস্ক ও ২০০ বোতল স্যানিটাইজার কিনেছি। সরকার ইতিমধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে। যাদের মাস্ক নেই শুধুমাত্র তাদেরই দেওয়া হবে।’
দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে সব জেলেরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ফিরে আসতে বার্তা গিয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের বরিষ্ঠ আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ’২০ মে বেশ কিছু জায়গায় আমরা ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা করছি। সঙ্গে ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।’
আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসের পর তৎপর হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী ২ জেলায় সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান মজুত করতে শুরু করেছে প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গেই এলে শেষ মুহূর্তে সেখানে সরাতে হতে পারে কয়েক লক্ষ উপকূলবাসীকে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির মহকুমা শাসক শুভময় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘করোনা সংক্রমণের জেরে এই প্রথমবার মাস্ক ও স্যানিটাইজারের মতো জিনিস সাইক্লোন সেন্টারে মজুত করছে প্রশাসন। সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাত কাটাবেন। আমাদের লক্ষ্য সেখান থেকে যেন করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়।’
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে রবিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপটি। রবিবারের রাতের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে সেটি। সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত ওড়িশা উপকূল ধরে ঝড়টি এগোবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। সম্ভবত বুধবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানবে আমফান।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বিডিও দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি এড়াতে নিচু এলাকাগুলির হাজার হাজার মানুষকে সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে এনে রাখা হবে। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় সেখানেও মেনে চলতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি। সেজন্য আমরা সাইক্লোন সেন্টারের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। ভিড় এড়াতে বিভিন্ন স্কুলে রাখা হবে দুর্গতদের। স্কুল বন্ধ থাকায় পঠনপাঠনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’
কন্টাই মহকুমায় বাস প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষের। বুলবুলের সময় তার মধ্যে ৪৫,০০০ মানুষকে সরাতে হয়েছিল। কাকদ্বীপে ১১টি সাইক্লোন সেন্টারের সঙ্গে ৬৪ স্কুল ভবনকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। খাবার ও জলের সঙ্গে সেখানে মজুত রাখা হচ্ছে সাবান, মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
দিব্যেন্দুবাবু জানিয়েছেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ৫০০-৮০০ মাস্ক ও ২০০ বোতল স্যানিটাইজার কিনেছি। সরকার ইতিমধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে। যাদের মাস্ক নেই শুধুমাত্র তাদেরই দেওয়া হবে।’
দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে সব জেলেরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ফিরে আসতে বার্তা গিয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের বরিষ্ঠ আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ’২০ মে বেশ কিছু জায়গায় আমরা ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কা করছি। সঙ্গে ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।’