টালিগঞ্জে প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন লাগল। দমকলের ৮টি ইঞ্জিন প্রথমে গিয়েছিল। এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫টি। জোরকদমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। গোডাউনের পাশেই প্রচুর আবাসন থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগুন লাগার সময়ে গোডাউনে কেউ ছিলেন না বলে খবর। ফলে গোডাউনের ভিতর কারও আটকে পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। টালিগঞ্জের কুঁদঘাট এলাকায় স্টুডিয়ো পাড়ায় প্রযোজনা সংস্থার গুদামে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান।
ঠিক কী ঘটেছে টালিগঞ্জে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে গোডাউনে। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে তা দেখতে পান। আর দমকলে খবর দেন। তবে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গোডাউনের শেডটি টিনের হওয়ায় প্রচণ্ড শব্দে টিনের শেড ফেটে ভেঙে পড়ে। গোডাউনের ভিতর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘৮টি ফায়ার টেন্ডার আছে। সব ঠিক আছে। আগে আগুন নেভানোটাই লক্ষ্য।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে বাবুরাম ঘোষ রোডের গুদামটি ঘনবসতিপূর্ণ। তাই আগুন লাগার পর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার আগুন নেভাতে কসরত করতে হচ্ছে দমকলের বাহিনীকে। গোডাউনের সামনের রাস্তাটা অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ায় ইঞ্জিন ঢুকতেও সমস্যা হয়। এখনও পর্যন্ত প্রযোজনা সংস্থা কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি। তবে একটি মুভি সংস্থার গোডাউনে প্রচুর অত্যাধুনিক ও মূল্যবান যন্ত্র, সরঞ্জাম, ক্যামেরা এবং ইলেক্ট্রনিক জিনিস রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আগুনের তাপে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
কী তথ্য পেয়েছে দমকল? দমকল সূত্রে খবর, আগুন নেভানোটাই প্রাথমিক লক্ষ্য। পরে আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আগুন লাগার সময় গুদামটিতে কেউ ছিলেন না। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার বিপুল সরঞ্জাম সেখানে রাখা ছিল। সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকল বাহিনী আগুন লাগার প্রায় আধঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি দমকল কর্তৃপক্ষ। একটি জরাজীর্ণ পুরনো বাড়ির ভিতরেই প্রযোজনা সংস্থার গোডাউন।