মাঠে নেমেই ঝোড়ো ব্যাটিং করতে চলেছে মৌসুমি বায়ু। নিম্নচাপের পিঠে চড়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন ব্যাপক ঝরাতে চলেছে সে। তেমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা। এবছরের বর্ষার প্রথম বৃষ্টিবলয়ের জেরে ১১ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে নাগাড়ে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।
পূর্বাভাস অনুসারে প্রবল বৃষ্টি হবে উপকূলের ২ জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, সঙ্গে গোটা ডুয়ার্স জুড়ে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মালদা ও ২ দিনাজপুরে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম ও ২ বর্ধমানে।
পূর্বাভাস অনুসারে ২৭ জুন পর্যন্ত কলকাতায় মোট ৪০০ – ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬০০ মিমি, দিঘা ৭০০ মিমি, রানিগঞ্জ ৪৭০ মিমি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৬০ মিমি, বাঁকুড়ায় ৩৫০ মিমি, নদিয়ায় ৪৩০ মিমি ও দার্জিলিংয়ে ৭০০ মিমি বৃষ্টি হতে পারে।
যে সব এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে ১৭ দিনের মধ্যে অন্তত ১০ দিন বৃষ্টি হবে। অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাসযুক্ত এলাকায় ১৭ দিনের মধ্যে ১১ -১৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে। প্রবলভারী বর্ষণের পূর্বাভাসযুক্ত এলাকায় ১৭ দিনের মধ্যে ১৬ দিনই বৃষ্টি হতে পারে।
নাগাড়ে বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের নীচু এলাকাগুলিতে প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে। দুকুল ছাপিয়ে বইতে পারে উত্তরবঙ্গের নদীগুলি। সেখানে হড়পা বান ও বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। জুনে বঙ্গোপসাগরে আরও ১টি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। যা বাংলাদেশ উপকূল দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। ইতিমধ্যে চলতি জুনে পশ্চিমবঙ্গে ১০০ মিমির বেশি বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। নিম্নচাপ এদিকে এলে তো আর রক্ষে নেই।