আগেরবার তিন নম্বরে ছিল। এবার সবাইকে ছাপিয়ে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের মানচিত্রে শতাব্দীপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা যে ধরনের গবেষণা কাজগুলির সঙ্গে যুক্ত আছেন, তা বরাবরই আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে। এবারও সেই কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের মতো খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং বর্তমান পড়ুয়ারা। তেমনই এক প্রাক্তনী সমাদৃতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। গর্ববোধ হচ্ছে।’ অপর এক প্রাক্তনীর কথায়, ‘বহু ইতিহাসের সাক্ষী থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে বরাবরই গর্ববোধ হত। এবার সেই গর্বের সীমা ছাড়িয়ে গেল।’
সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২০ সালের 'অ্যাকাডেমিক র্যাঙ্কিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি' বা ‘সাংহাই র্যাঙ্কিং'-এ ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম স্থানে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সবমিলিয়ে ‘সাংহাই র্যাঙ্কিং'-এ জায়গা পেয়েছে ভারতের ১৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস (আইআইএসসি)। তিন নম্বরে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
সেই স্বীকৃতির পর অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি বলেন, ‘সাংহাই র্যাঙ্কিং বা ২০২০ সালের অ্যাকাডেমিক র্যাঙ্কিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ভারতের মধ্যে মেধা এবং কৃতিত্বের মাপকাঠিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থানে আছে।’ সঙ্গে বলেন, 'পুরো রাজ্যের জন্য এটা গর্বের বিষয়। প্রত্যেক শিক্ষক, গবেষক, পড়ুয়া এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।'