জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে এবার থেকে আর ছুটতে হবে না পুরনিগমে। কলকাতাবাসীর বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে শংসাপত্র। এমনটাই জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার এক সংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ ঘোষণা করেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবাযিত করতে পুরনিগমকে ৪১ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি এদিন ফইরহাদ আরও জানান যে পুরনিগমের কাজকে পুরোপুরি পেপাসরেলস করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ফিরহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, যাতে পরিষএবা পেতে আর কোনও মানুষকে পুরসভার অফিসে না আসতে হয়। স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমেই যেন নিজেদের প্রয়োজনীয় পরিষেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। অনলাইনেই সেই পরিষেবাও পেয়ে যাবেন জনসাধারণ।’ তবে ফিরহাদ জানান, যাঁরা স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন না, তাঁদের পরিষেবা দেওযার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। এদিন ফিরহাদ জানান, প্রতিটি বরো অফিসে একটি করে সহায়তা অফিস খোলা হবে। সেখানে একজন কর্মী থাকবেন কম্পিউটারে। তাঁকে গিয়ে বললেই মিলবে পরিষেবা।
তাছাড়া মেযর জানান, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র নিতে হলে আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িযে থাকতে হবে না শহরবাসীকে। ৮৩৩৫৯৯৯১১১ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করলেই জানা যাবে যে কবে শংসাত্র মিলবে পুরনিগম থেকে। গতবছর থেকেই অবশ্য চালু হয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি। পুরনিগমের আধিকারিকদের মতে, এই নম্বর চালুর ফলে অনেক লাভবান হয়েছেন শহরবাসী। উল্লেখ্য, কোনও কলকাতাবাসীর শেষকৃত্য কলকাতার বাইরে সম্পন্ন হলে অন্ত্যেষ্টির নথি এনে মৃত্যুর শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হয পুরনিগম থেকে। নম্বর চালু হওয়ায় সেই কাজ অনেজ সহজ হযেছে বলে দাবি আধিকারিকদের। পাশাপাশি পুরনিগমের বিরুদ্ধে শংসাপত্রে ভুল নাম লেখার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তা সংশোধন করাতে বারবার পুরনিগমে আসতে হত। ড্রপবক্সে ফর্ম পূরণ করে দিয়ে যেতে হত। তবে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু হওয়ার পর, এই দুর্ভোগ কমেছে আম জনতার।