দুর্গোৎসব শেষ, শহর ধীরে ধীরে ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে। উৎসবের আমেজ মিলিয়ে যেতেই কলকাতা পুরসভা নামছে নতুন যুদ্ধে ডেঙ্গি প্রতিরোধে। বৃষ্টি কিছুটা কমলেও আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। তাই সময় নষ্ট না করে ঘাট পরিদর্শনে নেমে পড়লেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: উমর-শারজিলের আদলে রাবণের কুশপুতুল! বাম-এবিভিপি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ JNU, আহত বহু
শুক্রবার দুপুরে বাজেকদমতলা ঘাটে পৌঁছে মেয়র খতিয়ে দেখেন প্রতিমা নিরঞ্জনের পর গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করার কাজ কেমন চলছে। বিসর্জনের পাশাপাশি জলদূষণ রোধ ও ডেঙ্গি প্রতিরোধ নিয়েও মেয়র সরেজমিনে পর্যালোচনা করেন। তিনি বলেন, এখনও শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা যায়নি, কিন্তু পুরসভা সতর্ক। জল জমে থাকলে মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ পায়। তাই আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছে কলকাতার রাস্তাঘাট। এবারে বর্ষার মধ্যেই পুজো পড়ায় বহু জায়গায় রাস্তা সংস্কারের কাজ থেমে ছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে মেয়র জানান, পুজোর সময় বৃষ্টির জন্য অনেক রাস্তা সারাইয়ের কাজ আটকে গিয়েছিল। তবে এখন বৃষ্টি কমেছে, তাই দ্রুত সেই কাজ শুরু হবে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় মেয়রকে। কেউ রাস্তার গর্তের অভিযোগ তুলেছেন, কেউ বা ঘাটে জমা জল নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দিয়েছেন, রাস্তা বোঝানো ও ডেঙ্গি প্রতিরোধ দুই কাজই একসঙ্গে চলবে। ঘাট থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে সাফাই ও ফগিংয়ের কাজ তদারকির মধ্যে রাখা হবে।
এদিকে, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিসর্জনের পর মণ্ডপ খোলা, প্রতিমা তোলার পাশাপাশি জমা জল সরানোর দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। কারণ উৎসবের পরই জমে থাকা জল ডেঙ্গি মশার আদর্শ প্রজননক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তাই ঘাটে ঘাটে সাফাইকর্মীদের মোতায়েন রাখা হয়েছে। পুরসভার আধিকারিকদের কথায়, উৎসবের আনন্দ যেমন সবার, তেমনি শহরের স্বাস্থ্যও সবার দায়িত্ব। তাই নাগরিকদেরও অনুরোধ, বাড়িতে বা পাড়ায় কোথাও জল জমতে দেবেন না।