রেমাল আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত। ঝোড়ো হাওয়ার জেরে রবিবার সন্ধ্য়ায় নাগেরবাজার এলাকায় একটি গাছ ভেঙে পড়ে। এদিকে কলকাতায় ঝড়ের প্রভাবে গাছ পড়লে, বাতিস্তম্ভ পড়লে তা মোকাবিলার জন্য কী ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে কলকাতা পুরসভায়। রেমালের ল্যান্ডফলের সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভায় থাকতে পারেন বলে খবর।
পুর কমিশনার ধবল জৈন সহ পুরসভার পদস্থ আধিকারিকরা পুরসভায় থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সেব্যাপারে তাঁরা খোঁজ নেবেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা।
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পুরসভার তরফে? আসলে আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে যাবতীয় বিষয় আগে থেকেই মজুত রাখছেন তিনি । সব বোরোতে গাছ কাটার মেশিন মজুত রাখা হচ্ছে। কারণ ঝড় মানেই শহরে গাছ পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তার জেরে সমস্যা বাড়ে। সেক্ষেত্রে ঝড় কিছুটা কমলেই সেই গাছ দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে এবার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জেসিবি মেশিন ও ক্রেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তবে মেয়র এদিন বড় আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাতে যতক্ষণ পর্যন্ত শহর থেকে এই বিপর্যয় সরে না যায় ততক্ষণ আমরা সকলেই আছি কলকাতা পুরসভায়। আগামী কাল সকালে কলকাতার অনেকটা জায়গা জলমগ্ন থাকবে। হয়তো একটু সময় দিলে এগারোটার পর সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কলকাতাবাসীকে বলব, বাড়িতে থাকুন। বিপজ্জনক বাড়িতে থাকলে আমাদের ক্যাম্পে আসুন, নিজেকে রক্ষা করুন। কলকাতা পুরসভা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের জন্য এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
সামনেই ভোট। তার আগে রেমাল। ভোগান্তি বেশি হলে তার প্রভাব পড়তে পারে ইভিএমে। তার জেরে এবার সতর্ক কলকাতা পুরসভা। সতর্ক ফিরহাদ হাকিম।
সেই সঙ্গেই অনেকে বিপজ্জনক বাড়িতে থাকেন। তাঁরা যাতে নিরাপদ জায়গায় সরে যান সেই আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে রেমালের একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি এদিন বাতিল করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাদবপুর লোকসভা এলাকায় নির্ধারিত মিছিল বাতিল করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে হরিনাভি থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন হয়ে রাজপুর বাজার পর্যন্ত তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে মিছিল করার কথা ছিল মমতার। সেই মিছিলটি বাতিল করা হয়েছে।