ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে ভারী বর্ষণ হয়েছিল। কলকাতার রাস্তাঘাটে জল জমাটা সাধারণ ব্যাপার হলেও এরফলে গত ২৭ মে বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ অবস্থা হয়েছিল পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে। সাধারণত বৃষ্টিতে কলকাতার পাতাল রেলের স্টেশনে এমন ছবি খুব একটা দেখা যায়নি। তবে রেমালের পরেই পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে জল জমার যে ছবি দেখা গিয়েছিল তা ছিল কার্যত উদ্বেগজনক। তা ঘিরে সেই সময় শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। জল জমার জন্য কার্যত পুরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পালটা মেট্রোর ত্রুটিকে দায়ী করে পুরসভা। সেইমতো সমস্যার সমাধান করল মেট্রো।
আরও পড়ুন: কলকাতার তিন মেট্রো স্টেশনে থাকবে না বুকিং কাউন্টার, টিকিট কাটতে হবে নিজেদের
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের পরেই মেট্রো স্টেশনের জল জমার কারণ খতিয়ে দেখতে পুরসভা এবং মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা যৌথভাবে তদন্ত করেন। তারপর তারা রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টে বলা হয়, স্টেশনের পরিসরের বাইরে কংক্রিটের পুরু ডায়াফ্রাম দেওয়ালে ফাটল ছিল। সেই ফাটল দিয়ে চুঁইয়ে জল ভেতরে ঢুকেছিল। সেটি কোনওভাবেই নিকাশি থেকে চুঁইয়ে আসা জল ছিল না। এরপরেই মেট্রোর তরফে দ্রুত ডায়াফ্রাম দেওয়ালের সমস্যা মেরামত করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। তরল সিমেন্ট এবং রাসায়নিক মিশ্রণ ফাটলের মধ্যে পাঠিয়ে এই অংশ জমাট বাঁধানো হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরপরই শুরু হয় কাজ। টানেলের প্রাচীর থেকে ছিদ্র বন্ধ করতে মেট্রো রেল পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের বিভিন্ন স্থানে গ্রাউটিং শুরু করে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত ছিদ্রগুলি মেরামত করার জন্য প্রায় ৬৪৫ ব্যাগ সিমেন্ট ডি ওয়ালের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জল ঢোকার জন্য পুরসভার নিকাশি এবং ম্যানহোলকেও দায়ী করেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, পলি জমা ছাড়াও তিনটি ছিদ্র ছিল ম্যানহলে। যাত্রী সুবিধার্থে মেট্রো এবং পুরসভা দুই পক্ষকে মিলিতভাবে কাজ করতে মেট্রোর তরফে বার্তা দেওয়া হয়। পরে পুরসভার তরফে যেমন পলি তোলা হয়। তেমনিই কাজ শুরু করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রো ওয়েবসাইটের একটি অফিসিয়াল প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের বিভিন্ন স্থানে গ্রাউটিং শুরু হয়েছে। ছিদ্র মেরামত করতে ৬৪৫ ব্যাগ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।