এখন রাজ্যজুড়ে বর্ষা চলছে। তাই ছুটির দিনে পাত পেড়ে মাংস–ভাত হলে তো কথাই আলাদা। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে দীর্ঘ লকডাউন চলায় মানুষের হাতে টাকা নেই। অনেকের কাজ নেই।নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। কিন্তু অদ্ভূত কাণ্ড হল, খাসির মাংস ৫০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শহরজুড়ে তোলপাড় হয়ে গেল। রহস্যটা কোথায়?
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, খাসির মাংস কীভাবে এত কম দামে বিকোচ্ছে? তাও আবার ৫০০ টাকা কেজি দরে মানিকতলার বাগমারি বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন। এই খবর আসতেই সেখানে ঢুঁ মারলেন কলকাতা পুরসভার ফুড সেফটি বিভাগের অফিসাররা। তাঁরা সংগ্রহ করলেন মাংসের নমুনা। ইতিমধ্যেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার জন্য। কিন্তু এটা খাসির মাংস তো? এখানে আবার ভুয়ো ব্যাপার নেই তো? স্থানীয় বাসিন্দারা এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন।
এবার ঘটনার সত্যাসত্য জানতে প্রায় ১০টি দোকান থেকে মাংসের নুমনা সংগ্রহ করা হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। ক্রেতাদের সঙ্গেও পুরসভার কর্তারা কথা বলেছেন। বাগমারি বাজারে যান পুরসভার ফুড সেফটি বিভাগের প্রদীপ পাল, শিব ঠাকুর–সহ পাঁচ জনের প্রতিনিধিদল। কলকাতার কোথাও খাসির মাংসের দাম কেজি প্রতি ৬৮০ টাকা, তো কোথাও ৭৫০ টাকা। সেখানে ৫০০ টাকায় খাসির মাংস বিক্রি ঘুম ছুটিয়েছে পুর আধিকারিকদের।
এখানকার ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, তাঁরা পাইকারি দরে মাংস কেনেন। খাসির হাটও ওই এলাকার পাশে বসে। সুতরাং পরিবহণ খরচ নেই বললেই চলে। তাই তাঁরা এত কম দামে খাসির মাংস বিক্রি করতে পারছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কাছে রসিদ চান পুরকর্তারা। দেখতে চাওয়া হয় ট্রেড লাইসেন্সও। কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বরোর কো–অর্ডিনেটর অনিন্দ্য রাউত বলেন, ‘পুরসভার ফুড সেফটি বিভাগকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তাঁরা এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। রিপোর্ট আসার পর সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’