স্যালাইন কান্ডে গুরুতর অসুস্থ তিন প্রসূতিকে গতকালই গ্রিন করিডর করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এখানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তিনজনকেই। তবে অসুস্থ প্রসূতিদের পরিবার সদস্যদের অভিযোগ, সোমবার বেলা গড়ালেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেনি। গত বুধবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল চার প্রসূতিকে। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এবং তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই স্যালাইনের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এদিকে টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হল, এসএসকেএমে ভর্তি এক প্রসূতির মা বলেন, 'চারদিন হয়ে যাওয়ার পরও তাঁর মেয়ের পেট ফুলে যাচ্ছে, এখনও প্রস্রাব হয়নি।' তবে মেয়ের রক্তপাত বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ সেই রোগীর ডায়ালিসিস হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: দিল্লি নিবাসী হাসিনা কন্যার বিরুদ্ধেও মামলা বাংলাদেশে, কী অভিযোগ পুতুলের নামে?)
আরও পড়ুন: কেরলে ৬ বছর ধরে ৬০ জন ধর্ষণ করেছিল নাবালিকা ক্রীড়াবিদকে! পুলিশের জালে ২৮
রিপোর্ট অনুযায়ী, মেদিনীপুর থেকে এসএসকেএমে আসা দু’জন প্রসূতি রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার, একজন আইটিইউয়ে চিকিৎসাধীন। সিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন দুই প্রসূতির মধ্যে একজন অতি সঙ্কটজনক। রোগীদের দেহে সংক্রমণের মাত্রা বুঝতে নানান পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন, আরবিসি-সহ রক্তের একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এদিকে রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করতে আজ পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসবে। এই বোর্ডে আছেন সিসিইউ, অ্যানাস্থেসিস্ট, নেফ্রোলজি, স্ত্রীরোগ, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরা। (আরও পড়ুন: চুপি চুপি থাকত… কারও সাথে তেমন কথা বলত না! সোনারপুর থেকে গ্রেফতার ৫ বাংলাদেশি)
আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারে এবার বাধা এপারের গ্রামবাসীরাই, BSF-এর সঙ্গে কথা MLA-র
এর আগে প্রসূতি মামনি রুইদাসের মৃত্যুর খবরে গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এই আবহে স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা মেদিনীপুরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তাঁরা সেই সময় জানিয়েছিলেন, যেখানে নেফ্রোলজি বিভাগ ভালো রয়েছে সেখানেই বাকি তিন অসুস্থ প্রসূতিকে স্থানান্তরিত করা হোক। সেই অনুসারেই রবিবারের মিটিংয়েও ফের এনিয়ে আলোচনা হয়। তারপরেই তাঁদের মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় রোগীর পরিজনদের দাবি, কলকাতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে তাঁদের কিছু বলা হয়নি। এদিকে মেদিনীপুরে তাঁদের ডায়ালিসিস করা হয়। এদিকে মাম্পি সিং এবং মিনারা বিবির পরিবারের লোকজনেরা অভিযোগ করেন, রোগী মেদিনীপুরে থাকাকালীন তাঁদের কলকাতা থেকে রক্ত নিয়ে যেতে হয়েছিল।