২৭ অগস্ট। এক অভিনব নবান্ন অভিযান দেখেছিল বাংলা। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কিংবা বিরোধী কোনও ছাত্র সংগঠনের ডাকে নয়, একেবারে অরাজনৈতিকভাবে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল ছাত্র সমাজ। সেই সময় দেখা গিয়েছিল নির্দিষ্ট কয়েকজন যুবক এই ছাত্র সমাজের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা পরিস্কার করে দিয়েছিলেন যে তাদের এই ডাকের পেছনে কোনও রাজনৈতিক দল নেই। তাঁরা রাজনীতি করেননা বলেও দাবি করেছিলেন তাঁরা। তবে সেই খাপছাড়া ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানে কার্যত ভালো সাফল্য পেয়েছিল। আর সেই ছাত্র সমাজই এবার সংগঠনের চেহারা নিতে চাইছে।
সেই সময় দেখা গিয়েছিল কলকাতার বাসিন্দা সায়ন লাহিড়ি এই ছাত্র সমাজের অন্যতম মুখ। পরে সায়নকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে মুক্তিও পান তিনি। তবে এবার সেই ছাত্র সমাজ একেবারে নিজেদের সংগঠনের আওতায় নিতে চাইছে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে ছাত্র সমাজ সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মূলত ফেসবুকের মাধ্যমেই ছাত্র সমাজ পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এমনকী যারা নবান্ন অভিযানের একেবারে মাথায় ছিলেন তারাও ফেসবুকের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে তাঁরা নিজেরাই জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল আরজি কর প্রতিবাদের মাধ্যমে যে ছাত্র সমাজের জন্ম সেটা কি নবান্ন অভিযানের মাধ্যমেই শেষ হয়ে যাবে? আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মাধ্যমে যে ছাত্র সমাজের জন্ম হয়েছিল তার কি অপমৃত্যু ঘটবে?
না তেমনটা হচ্ছে না। এবার ছাত্র সমাজ সংগঠনের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযান। কারণ সংগঠনের রূপ দিতে না পারলে আগামী দিনে একের পর এক কর্মসূচি পালন করা যথেষ্ট সমস্যার। সেকারণে এবার নয়া উদ্যোগ। প্রথম দিনই তিন হাজারের বেশি সদস্যের নাম তারা জোগাড় করতে পেরেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
কীভাবে তারা সদস্য সংগ্রহ করছে?
প্রাথমিকভাবে তারা ফেসবুক সহ বিভিন্ন সমাজমাধ্যমের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্যকে হাজির করার চেষ্টা করছে। ১১ দফা দাবির কথাও তারা উল্লেখ করেছেন। এমনকী জেলা ও ব্লক স্তরে নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন নেতৃত্বও তারা খুঁজছেন। প্রতিটি জেলায় একজন করে কো- অর্ডিনেটর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্য়মেই সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, কোন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া দরকার সেটাও জানতে চেয়েছেন তারা।
সেই সঙ্গেই পুজোর আগেই দ্বিতীয় একটা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ছাত্র সমাজ।