মেনকা গম্ভীরের দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, শুক্রবার এই মামলা খারিজ করলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননা হয় এমন কোনও কাজ করেনি ইডি এবং অভিবাসন দফতর। মামলা চলাকালীন চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়া অথবা অন্য কোন আবেদন থাকলে আলাদা করে মামলা করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি। অবমাননার মামলায় নতুন করে কোন আবেদন জানানো যায় না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? কলকাতা বিমানবন্দরে মেনকা গম্ভীরকে আটকে রাখা ঠিক হয়নি বলে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মেনকা গম্ভীরের দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে ইডির পক্ষ থেকে আইনজীবী এস.ভি রাজু সওয়াল করেন, যদি মেনকা গম্ভীরকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা ঠিক হয়নি। কিন্তু এটা ইচ্ছাকৃত নয়। তাই এটা আদালত অবমাননার নয়। হয়রানি হতে পারে। তখনই বিচারপতি মেনকার আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, এটা কেন আদালত অবমাননা বলে আপনার মনে হল? যদিও তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন মেনকার আইনজীবী।
মেনকার সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য উড়ানে উঠতে বাধা দেওয়া হয় মেনকাকে বলে অভিযোগ। বিমানবন্দরে পাসপোর্ট টিকিট কাউন্টারে জমা দিয়ে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময়ই মেনকাকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ অভিবাসন দফতরের বিরুদ্ধে। তাঁকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে ইডি বলে জানানো হয়। তাই তিনি বিমানে উঠতে পারবেন না এবং শহর ছাড়তে পারবেন না। এমনকী তাঁকে তলবের নোটিশও ধরানো হয়। ১২ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মেনকা। তাঁকে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতের ‘রক্ষাকবচ’ থাকার পরও বিমানবন্দরে কেন তাঁকে আটকানো হল? এই নিয়ে ইডি এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন মেনকা।
মেনকার আইনজীবীর দাবি কী? মেনকার আইনজীবী দাবি করেন, মেনকার বিদেশযাত্রায় বাধা সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দেয়নি। তা সত্ত্বেও মেনকাকে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল। আগে কয়লা কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা। তখন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, দিল্লি নয় বরং কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে মেনকাকে। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়, মেনকার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।