আরও কাছাকাছি নবান্ন আর রাজভবন? সোমবার রাজভবনে গিয়েছিলেন। তিক্ততা অতীত। এবার দুপক্ষের মধ্য়ে আলোচনা হল রাজভবনে। সোমবার সন্ধ্য়ায় মুখ্যসচিবকে নিয়ে রাজভবনে চায়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। রাজভবনের তরফে উভয়ের শুভেচ্ছা বিনিময়ের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের তালিকাতে সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল।এরপরই সোমবার মমতা গেলেন রাজভবনে। সেখানে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর রাজ্যের আরও ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। তবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি
এরপর রাজভবনের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে রাজভবন আর নবান্নের মধ্যে সেই তিক্ততা একেবারে অতীত।
সেই বার্তায় প্রকৃত বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘যখন সব দিকটা অন্ধকার তখন এই প্রকৃত বন্ধুত্বই আলো দেয়…যখন আমরা হয়তো আলাদা ছিলাম তখনও গাছের শাখার মতো আমরা যুক্ত ছিলাম।’ কার্যত নবান্ন ও রাজভবনের মধ্যে সম্পর্কের নিবিড়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে।
সেক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের মতে রাজভবনের এই বার্তা বিরোধীদের কাছে টেনশনের কারণ হলেও শাসকদলের কাছে যথেষ্ট ইতিবাচক।
এর আগে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে জটিলতা কাটিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন রাজ্যপাল।উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার ৬জন উপাচার্যের নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছিল। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছে নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শংকরকুমার নাথ, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন রূপকুমার বর্মণ। আর রানি রাসমণি গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদে বসছেন অমিয়কুমার পান্ডা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন কল্লোল পাল এবং সিধো কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন পবিত্রকুমার চক্রবর্তী।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রীও এনিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছিলেন। সূত্রের খবর, ৩৪ জন উপাচার্যের নাম মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে রাজভবনে গিয়েছিল। একসপ্তাহের মধ্যে সেই নামগুলিতে সিলমোহর দিয়ে পাঠানোর কথা ছিল রাজভবনের। তার মধ্যে ৬ জনের নামে সিলমোহর পড়েছে। বাকিগুলি নিয়ে সোমবার কিছু কথা এগিয়েছে বলে খবর।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের দেখানো পথে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অবশেষে স্থায়ী উপাচার্য পেতে চলেছে। আমাদের গোটা হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত মহাশয়কে এই প্যানেল প্রস্তাব করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী এবং আচার্যকেও ধন্যবাদ জানাই।’