আগামী ৪ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর সময়ে অক্টোবরে চালু হয়ে যাবে মেট্রো। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো রেলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন তৈরি হয়ে গেলে লক্ষ লক্ষ যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের মত। তখন কলকাতা ও তারর পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিবহণ ব্যবস্থাই অনেকটা পালটে যাবে।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, মাটির ১৬.৫ মিটার নীচে আছে মেট্রোর রেলপথ। যেহেতু শিয়ালদহ রেল স্টেশনের গায়েই তৈরি হচ্ছে এই ভূ–গর্ভস্থ এই মেট্রো স্টেশন, তাই এই এলাকায় যে বিপুল যাত্রী সমাগম হবে, তা বলাই যায়। সেকথা মাথায় রেখেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই শিয়ালদহ স্টেশনের একদিকে থাকছে ফুলবাগান, আবার অন্যদিকে থাকছে এসপ্লানেড জংশন স্টেশন। ফলে কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই শিয়ালদহ স্টেশনের গুরুত্ব যে বাড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের যাতায়াতে সুবিধার জন্য থাকছে ৯টি সিঁড়ি। ২৮টি এসকালেটর থাকছে। শিয়ালদহ দক্ষিণের দিকে থাকা প্রশস্ত জায়গা দিয়ে সহজেই যাত্রীরা আসা যাওয়া করতে পারবে। এছাড়াও স্টেশনে থাকছে ২৭টি টিকিট কাউন্টার। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আলাদা টিকিট কাউন্টার থাকছে। স্টেশনে যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে ৫টি লিফট। মেট্রো স্টেশনে ৩টি প্ল্যাটফর্ম রাথা হয়েছে। যাত্রীদের যাতায়াতেরপ্ল্যাটফর্ম ন্য আইল্যান্ড প্লাটফর্ম করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, অগস্ট থেকেই ফুলবাগান থেকে টানেল দিয়ে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। শিয়ালদহ স্টেশনের দায়িত্বে থাকা চিফ অপারেটিং অফিসার রূপক সরকার জানিয়েছেন, শিয়ালদহ স্টেশন আগামীদিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হতে চলেছে। বিভিন্ন শহরতলি এলাকা থেকে মানুষ আসবেন। ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যাতে বিশেষ ব্যবস্থা থাকে, সেবিষয়টি নজরে রেখেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অক্টোবরের মধ্যে শিয়ালদহ থেকে মেট্রো চলাচল শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রো চালু আছে।