পুজোর আর বেশি দেরি নেই। তার আগে দ্রুত রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সাধারণত জলের পাইপ লাইনের জন্য যে সমস্ত রাস্তা খোঁড়া হয়েছে সেগুলি দ্রুত মেরামত করতে বলা হয়েছে পুরসভার তরফে। মেয়রের নির্দেশ ৭ মিটারের বেশি চওড়া রাস্তা হলে সে ক্ষেত্রে কাজ করবে পুরসভার রোডস বিভাগ এবং তার কম হলে বরো অফিসের তরফে মেরামত করা হবে। আবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ৩ মিটার পর্যন্ত চওড়া রাস্তায় কাজ করবে বরো এবং তার বেশি হলে পুরসভার রোডস বিভাগ কাজ করবে। শেষ পর্যন্ত মেয়র জানিয়েছেন, তাঁর নির্দেশই কার্যকর হবে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা।
আরও পড়ুন: উত্তর ও মধ্য কলকাতার দুটি রাস্তা মেরামতের জন্য বিপুল টাকা মঞ্জুর পুরসভার
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, টালিগঞ্জ, যাদবপুর এবং বেহালার সংযোজিত এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ সংস্থা কেআইপি (কলকাতা এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট) এই কাজ করছে। এর জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে ওই সংস্থা । তবে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ হওয়ার ফলে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে মানুষের। এই নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তার ভিত্তিতে দ্রুত রাস্তা মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। এই সমস্ত নিকাশি সংস্থার কাজ করার পর কে রাস্তা মেরামত করে। তবে কেআইপির বিরুদ্ধে ঢিলেমির অভিযোগ ওঠায় সেই দায়িত্ব পুরসভার হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে । রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই মেয়র বরো অফিস এবং পুরসভা রোডস বিভাগের মধ্যে কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। মৌলালিতে কেআইপি ও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। সেখানে মেয়র ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে তারপরে অরূপ বিশ্বাস কেআইপি এবং পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন নির্দেশ দেন। তবে মেয়র শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই কার্যকর হবে। মেয়র চাইছেন কাজটি দ্রুত করতে। সেই কারণে তিনি রোডস বিভাগের পাশাপাশি বরো অফিসকে কাজে যুক্ত করেছেন। এই বিষয়ে অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘মেয়রের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। এ বিষয়ে মেয়র যেভাবে এগিয়ে এসেছেন সেটা খুবই প্রশংসার কাজ।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বর্ষার কারণে আপাতত গাড়ি চালানোর জন্য পাতালা লেয়ার দেওয়া হচ্ছে। জানুয়ারি মাস থেকে পাকাপাকিভাবে রাস্তা তৈরি হবে।