মিড - ডে - মিলের বাজার করার ঝক্কি থেকে নিষ্ক্রিতি পেতে চলেছেন শিক্ষকরা

দীর্ঘদিন ধরে মিড – ডে - মিলের দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি চাইছিলেন মাস্টারমশাই ও দিদিমণিরা। তাঁদের যুক্তি, শিক্ষকদের কাজ পড়ানো। অন্য কাজে মন দিলে পড়ানোয় ব্যঘাত ঘটে। কিন্তু তাদের কথায় এতদিন কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের সময় একাধিক জায়গায় মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের।

মিড ডে মিল খাচ্ছে পডুয়ারা (প্রতীকী ছবি)

স্কুলের মিড – ডে - মিলের রসদ কেনার হাত থেকে রেহাই পেতে চলেছেন শিক্ষকরা। নবান্ন সূত্রে খবর, এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত কো-অপারেটিভের ওপর। গোটা প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারি চালাবে স্কুলের পরিচালন সমিতি। মিড – ডে - মিলের বাজার করার হাত থেকে রেহাই পেয়ে যার পর নাই খুশি শিক্ষক – শিক্ষিকারা। তাদের কথায়, এবার পড়ানোয় মন দিতে পারব।

দীর্ঘদিন ধরে মিড – ডে - মিলের দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি চাইছিলেন মাস্টারমশাই ও দিদিমণিরা। তাঁদের যুক্তি, শিক্ষকদের কাজ পড়ানো। অন্য কাজে মন দিলে পড়ানোয় ব্যঘাত ঘটে। কিন্তু তাদের কথায় এতদিন কর্ণপাত করেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের সময় একাধিক জায়গায় মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। মিড – ডে - মিলে ধরা পড়েছে নানা অব্যবস্থা। আর এসব ক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষকদের জবাবদিহি করতে বলা হলে তাঁরা জানিয়েছেন, শিক্ষকের দায়িত্ব সামলে সব সময় মিড – ডে - মিলের দায়িত্বে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়া যায় না। যে জবাব খণ্ডন করার কোনও যুক্তি নেই শিক্ষা দফতরের কাছে।

সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই ঠিক হয়েছে, মিড – ডে - মিলের বাজার করার দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হবে শিক্ষক – শিক্ষিকাদের। এবার থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত সমবায়গুলি। তাদের কাজে নদরদারি করবে স্কুলের পরিচালন সমিতি। আপাতত পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে কয়েকটি জেলায় এই পদ্ধতি চালু হবে। সাফল্য পেলে সমস্ত রাজ্যে চালু হবে একই নিয়ম।