বুধবার অযোধ্যায় অনুষ্ঠিত হল রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। এমন ঐতিহাসিক দিনে লকডাউনে স্তব্ধ রাজ্য। তার মাঝেই চাপা উত্তেজনার মধ্যে দিনটিকে স্মরণ করে রাখার চেষ্টা করল গেরুয়া দল।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে নিউটাউনে ভূমিপুজো উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি–র পতাকা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিকে, মঙ্গলবার রাতে রাজারহাটের নারায়ণপুরে এক মন্দিরে ভূমিপুজো উদ্যাপনের প্রস্তুতি চলছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাতে বাধা দিতে বোমা, গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
বিজেপি লকডাউনের দিনবদলের আর্জি করলেও তা আগেই খারিজ করে রাজ্য সরকার। তাই রাজ্যবাসীকে বাড়িতে, মন্দিরে বা আশ্রমে প্রার্থনার অনুরোধ জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায় জানান, দুপুরে শঙ্খধ্বনি ও সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করে তোলা হবে।
তবে শুধু শঙ্খধ্বনি নয়, বাজি ফাটিয়ে, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে উদ্যাপন হল বারুইপুরে। এ দিন সকালে বারুইপুর আমতলা রুটের জোড়া দোকান এলাকায় লকডাউন বিধি ভেঙে জমায়েত করেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি–র সহ সভাপতি সুফল ঘাটু। অভিযোগ, রামচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর বেপরোয়া ভাবে বাজি ফাটানো হয়।
এ দিকে, রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ব্যানার লাগিয়েছে বিজেপি। বৃষ্টির মধ্যেই বুধবার সকালে সেখানে হাজির হয়ে ‘রামনাম’ করতে দেখা গিয়েছে গেরুয়াবাহিনীকে।
যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ব্যানার ছিঁড়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হটিয়ে দেওয়ায় চেষ্টা করছে পুলিশ। এ দিন তিনি প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে নিউটাউনে রাম মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন লকডাউন করে ভালো করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ আমরা বাড়িতে থেকেই রামের পুজো করব।’