এবার এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে জোড়াবাগান থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতদের শিয়ালদহের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আজ, সোমবার মামলাটি পকসো আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সরস্বতী পুজোর দিন এই ঘটনা ঘটেছে। ১৭ বছরের নাবালিকা জোড়াবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা। ওই নাবালিকাকে টোপ দেওয়া হয় কলকাতা ঘুরিয়ে দেখাবে। আবার মোবাইল কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত প্রতিবেশী। তার সঙ্গে বেরিয়েছিল ওই নাবালিকা। সরস্বতী পুজোর দিন সকাল থেকে শহরে ঘুরেছিল দু’জনে। তারপর আনন্দপুরে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে বন্ধুরা গণধর্ষণ করে।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, সরস্বতী পুজোর দিন চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঘুরিয়েছিল ওই অভিযুক্ত। তারপরে আনন্দপুর এলাকার একটি রেল আবাসনের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গণধর্ষণ করা হয়। সেখান থেকে কোনওরকমে বাড়ি ফিরে সে তার বাবাকে এই নির্যাতনের কথা জানায়। তখন বাবা মেয়েকে নিয়ে গিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নেমে জোড়াবাগান থানার পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ওই নাবালিকাকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। নাবালিকাটিকে এখন সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে নির্যাতিতার বাবা জানান, তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। মালবাহকের কাজ নিয়ে এখন কলকাতায় থাকেন। নির্যাতিতা মেয়ে অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে কাকু বলে ডাকত। তাই সে মেয়েটিকে শহর ঘোরাতে নিয়ে যাবে বলায় পরিবার সন্দেহ করেনি।