এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় খবর হল, মিন্টো পার্ক শুটআউটের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তথা শুটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম বিশাল সর্দার (২২)। মঙ্গলবার রাতে ভবানীপুরের নফর কুন্ডু রোড এবং প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের সংযোগস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এই কাণ্ডে জড়িত থাকা রণিত গুপ্ত ওরফে বঙ্গিকে। তাকে জেরা করেই তথ্য হাতে আসে পুলিশের। সেই তথ্যের উপর ভর করেই গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিংকে গুলি চালানো শুটার বিশাল সর্দারকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবীন্দ্র সরোবরের বাসিন্দা বিশাল সর্দার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩০৭, ৩৪ ধারা এবং অস্ত্র আইনের ২৫ এবং ২৭ ধারায় অভিযুক্তের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশালের কাছ থেকে মিলেছে সেই আগ্নেয়াস্ত্র। ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে, সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকায় ওই ঘটনা ঘটেছিল। বন্দুকটা ভয় দেখানোর জন্য রাখা ছিল। গত রবিবার অভিযুক্তরা তাদের বন্ধুদের সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবরে গণেশ পুজোর বিসর্জনে যাচ্ছিল। তখনই পঙ্কজের সঙ্গে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল। রাগের মাথায় পঙ্কজ রণিতকে চড় মারে। তারপরই পঙ্কজের উপর গুলি চালায় অন্য এক যুবক।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। পরে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা ঘটনার তদন্তভার নেয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খানিকটা অনুমান করা গিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই জানে ধরা পড়ে রণিত গুপ্ত। তাকে দফায় দফায় জেরা করতেই নাম সামনে আসে বিশাল সর্দারের। তখন খোঁজ শুরু করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশাল সর্দারকে ভবানীপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর কারা কারা এই ঘটনায় জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হাওড়ার ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিং বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় এসেছিলেন। ফেরার সময় গাড়িতে পঙ্কজের সঙ্গে তিনজন ছিলেন। পার্কসার্কাসের দিক থেকে রবীন্দ্র সদনের দিকে যাওয়ার সময় মিন্টো পার্কের কাছে গাড়ি দাঁড়াতেই পাঁচটি মোটরবাইক ঘিরে ফেলে পঙ্কজের গাড়িকে। তারপর ঝগড়া শুরু হয় তাদের মধ্যে। বচসা বাড়তেই গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। তখনই মারধর শুরু হয়। পঙ্কজ রণিত নামের যুবককে চড় মারেন। তখনই মোটরবাইকে থাকা বাকিরা পঙ্কজকে ঘিরে ফেলে। বিশাল সর্দার হঠাৎ বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয়। গুলিটি পঙ্কজের ডান কাঁধে লাগে। টানা ৬ ঘন্টা অস্ত্রোপচারের পর গুলি–মুক্ত করা হয় ব্যবসায়ীকে।