রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে অব্যবস্থা চলছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবনের সামনে এক সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপবাবু বলেন, যোগ্য আধিকারিকদের তাড়িয়ে মোসায়েবদের দিয়ে কাজ চালাতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিলীপের দাবি, ‘পশ্চিমবঙ্গে আজ সমস্ত দফতরে অব্যবস্থা। খাদ্য দফতর, স্বাস্থ্য দফতরের সচিব বদলি হয়েছেন। কলকাতায় বিদ্যুৎ নেই, কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার পুলিশ অফিসারদের হাঠানো হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এখন নতুন উপসর্গ তৈরি হয়েছে, বেসরকারি বাস চলবে কি না।’
বেসরকারি বাস চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘কোনও পরিকল্পনা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন, মালিকরা বাসের ভাড়া ঠিক করুন। চার দিন পর পরিবহণমন্ত্রী বললেন ভাড়া বাড়বে না। ওনারা বুঝতে পারছেন না বাস চালাবেন কি না। ভাড়া কী হবে। আর অফিস আদালত খুলে দেওয়া হল। কিন্তু আসার রাস্তা নেই। বিনা পরিকল্পনায় শুধুমাত্র প্রেস-মিডিয়াকে গরম করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিবৃতি দেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ে যান। আজ ঠিক পরিবহণ দফতর নিয়ে সেই একই সমস্যা হয়েছে। আমি জানি না পরিবহণ মন্ত্রীকে সরানো হবে না সচিবকে।'
রাজ্য সরকার যোগ্য আধিকারিকদের তাড়িয়ে মোসায়েবদের নিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কিছু সিনিয়র অফিসার যারা এতদিন সামলাচ্ছিলেন সব। তাদেরকে তো হাত খুলে কাজই করতে দেওয়া হয়নি। আর যখন অভিযোগ এসেছে তখন তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একে তো যোগ্য অফিসার কম। সব মোসায়েব, সব অকম্মা অফিসার আপনারা নিয়ে কাজ করছেন। বিভিন্ন দফতরে সমস্ত সিনিয়র যোগ্য আধিকারিকদের কমপালসারি ওয়েটিংয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। আজকে যারা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছিলেন এই পরিস্থিতির মধ্যে তাদেরকে আপনি অসম্মান করে সরিয়ে দিচ্ছেন। তার জায়গায় লোক নেই। ডাক্তার-নার্স সবাই পালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ধীরে ধীরে তো পশ্চিমবঙ্গ ভগবানের ভরসায় চলে যাচ্ছে।’
সরকার চালাতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রী হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেন দিলীপ। বলেন, ‘আর সেটাই মমতা ব্যানার্জি বলেছেন। সরকার চালাতে পারছেন না। অমিত শাহকে বলেছেন নিয়ে নিন। কখনো বলছেন মাথা কেটে নিন। এই যে একজন সম্পূর্ণ হতাশ, নিরাশ, অসফল একজন শাসক তার প্রমাণ আমরা ধীরে ধীরে পাচ্ছি।’